বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আত্মহত্যার হুমকি দিলেন নিহত বাদাম বিক্রেতার স্ত্রী

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫৩

নিহতের স্ত্রী লিপি জানান, মৃত্যুর আগেই সদর থানায় অভিযোগ দিয়ে গেছেন জাবেদ। মামলাও হয়েছে। কিন্তু এখন হত্যা মামলা রেকর্ড করছে না পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নে কালিতলা কাজিপাড়া গ্রামের বাদাম বিক্রেতা জাবেদ ইসলামের রহস্যজনক মৃত্যুতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীরা। তাদের অভিযোগ প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েই মারা গেছেন জাবেদ।

যদিও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, জাবেদের মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ার ফলে। এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে সুষ্ঠু বিচার না হলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন নিহত বাদাম বিক্রেতার স্ত্রী লিপি আক্তার।

লিপি আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী বিষপান করেনি। দ্বিতীয় দফা হামলায় আমার স্বামীর গোপনাঙ্গ চেপে ধরায় সে ঠিকমতো কথা বলতে পারেনি। গত পরশু দিন ব্যথা বাড়লে হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরদিন মারা যায় সে। হাসপাতাল ভুল রিপোর্ট দিয়েছে। আমাদের আইনগত সহায়তা করুন। নইলে আমি আমার তিন সন্তান নিয়ে বিষ খেয়ে মারা যাব।’

লিপি জানান, মৃত্যুর আগেই সদর থানায় অভিযোগ দিয়ে গেছেন জাবেদ। মামলাও হয়েছে। কিন্তু এখন হত্যা মামলা রেকর্ড করছে না পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ সড়কের কালিতলাতে রাস্তার দুই পাশে বেঞ্চ, গাছের ডাল ও মাঝখানে লাশ রেখে হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে স্লোগান দেন শত শত মানুষ।

স্থানীয়দের বক্তব্য, বাদাম বিক্রেতা জাবেদ একজন ভালো ও সহজ সরল মানুষ। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ওপর দুই দফা হামলা করেছে প্রতিপক্ষ রনি ও তার স্ত্রীসহ সহযোগীরা। দ্বিতীয় দফার হামলায় জাবেদের অণ্ডকোষ চেপে ধরেন রনির স্ত্রী মামুনি আক্তার৷ এতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে ৭ দিন পর হাসপাতালে মারা গেছেন জাবেদ।

নিহত বাদাম বিক্রেতা জাবেদের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা

নিহতের বাবা নূর ইসলাম বলেন, ‘আমরা অসহায় মানুষ। থানা পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করছে না। আমি পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ মারামারির ঘটনায় ইউপি কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সামনে আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা। ছেলেকে মেরে ফেলেছে।’

বিক্ষুব্ধদের মধ্যে মহসিনা বেগম নামে এক নারী অভিযোগ করেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান সোহাগসহ কিছু প্রভাবশালী অভিযুক্তদের সহযোগিতা করছেন। টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করছে হত্যাকারীরা। হাসপাতালকেও টাকা দিয়ে বিষক্রিয়ার রিপোর্ট বানিয়েছে।

মোহম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোহাগ বলেন, ‘দুই পক্ষ আমার এখানে আসে মীমাংসার জন্য। কিন্তু কার্যালয়ের গেটে তারা একে অপরের সঙ্গে আবারও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আমি তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি। এখন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আনা হচ্ছে তা প্রতিহিংসা ও উদ্দেশ্যমূলক। যেহেতু আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আমার পক্ষে-বিপক্ষে মানুষের মন্তব্য থাকতেই পারে। তবে আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের বিচার দাবি করছি এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পরিবারটিকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।’

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার রাকিবুল হাসান চয়ন বলেন, ‘জাবেদের মৃত্যুতে রহস্য আছে। আমরা তদন্ত করছি।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিস বলেন, ‘নিহত মাজেদের সুরতহাল রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত করছি। এ ছাড়া আমি ৩০২ ধারায় অভিযোগটি পুনঃ আবেদন করেছি। একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিশ্চয়ই জাবেদের পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত পাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর