করোনার কারণে দীর্ঘদিন ছুটি থাকার পর মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে স্কুল খুলেছে। প্রথম দিন ইউনিফর্ম ছাড়া স্কুলে যাওয়ায় কয়েক শিক্ষার্থীকে বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে থেকেই ইউনিফর্ম পরে আসার কথা শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছিল। তারপরও সেটি না মানায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে এই শাস্তি অযাচিত বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
ওই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর বাবা জানান, মেয়ে থ্যালাসেমিয়ার রোগী। প্রায়ই কিছুটা অসুস্থ থাকে। ইউনিফর্ম না পরায় তাকেসহ কয়েকজন ছাত্রীকে অপমান করে স্কুল থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক।
শিশুটি নিউজবাংলাকে বলে, ‘কিছুদিন আগে স্কুলের ড্রেস পরে যেতে হবে বলে নির্দেশ দেন শিক্ষকরা। আমার ড্রেস এখনও দর্জির দোকানে, তৈরি হয়ে আসেনি। মঙ্গলবার সকালে স্কুলে গেলে আমাকেসহ কয়েকজনকে ক্লাসরুম থেকে ডেকে নিয়ে সবার সামনে অপমান করে বের করে দেয়া হয়।’
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমি নিজেই সকালে অসুস্থ মেয়েকে স্কুলে রেখে আসি। শিক্ষকদেরও জানিয়ে আসি যে স্কুলড্রেস দর্জির কাছ থেকে পেয়ে যাবে, আগামীকাল সেটাই পরে আসবে। এর কিছুক্ষণ পরে শুনি আমার মেয়েকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
‘তাকে স্কুল থেকে বের করে না দিয়ে আমাকে জানাতে পারত। আমি গিয়ে বাসায় নিয়ে আসতাম। এভাবে একটা অসুস্থ বাচ্চাকে বের করে দেয়া কী ঠিক হলো?’
ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসেম আলী জানান, সব শিক্ষার্থীকে স্কুলের পোশাক পরে আসতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল আগেই। বারবার বলার পরও যারা সেটি মানেনি, তাদের বের করে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের আলী মন্ডল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্কুলড্রেস পরিধানের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের তাগিদ দিতে। তবে এরকম কোনো পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়নি। বিষয়টি অযাচিত।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিয়াজ উদ্দিন জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলবেন।