বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৮৮ কনটেইনার নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করবে বন্দর কাস্টমস

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২২ ১৩:৩৪

কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ কমিশনার আলী রেজা হায়দার বলেন, ‘আমাদের ভেন্ডরের মাধ্যমে উত্তর হালিশহরে বে টার্মিনালের কাছে একটি জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। জায়গার মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা সর্বশেষ একটি মিটিংয়ে পণ্য ধ্বংসের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ২১ মার্চ ঠিক করেছি।’

চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সময় পচনশীল পণ্য আমদানি করা হলেও ৪৫ দিনের মধ্যে তা খালাস করেন না আমদানিকারকরা। ফলে একদিকে যেমন কনটেইনারে থাকা পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়, অন্যদিকে খালাস না হওয়ায় এসব পণ্যবাহী কনটেইনারের জট বাড়তে থাকে চটগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে।

এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। নিয়মানুযায়ী কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব পণ্য বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৪৫ দিন পর নিলামে তুলতে পারে। তবে নানা কারণে সেটিও কার্যকর করা সম্ভব হয় না।

আমদানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস না নেয়ায় এবং নিলাম অযোগ্য হবার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা পচনশীল পণ্যের স্তূপ জমেছে। এবার ১৮৮ কনটেইনারে থাকা এসব পণ্য ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে কাস্টমসের নিলাম শাখা একটি সভায় এসব পণ্য ধ্বংসের প্রাথমিক দিনক্ষণও ঠিক করেছে।

ধ্বংসযোগ্য ১৮৮ কন্টেনার পণ্যের তালিকায় রয়েছে-পশু খাদ্য, পেঁয়াজ, মাছের খাবার, কানাডিয়ান ক্যানুলা, মিট অ্যান্ড বোন মিল, আপেল, মাল্টা, ম্যান্ডারিন, মাছ, বিভিন্ন ধরনের শস্য বীজ এবং পানীয়।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে এসব পণ্য ধ্বংস করার উদ্যোগ নিলেও, কাস্টমসের নিজস্ব জায়গা না থাকার তা করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ধ্বংস কার্যক্রম চালাতে আর্থিক সংকটও ছিল। কাস্টমসের নিলাম শাখা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংকট কাটিয়ে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম কাস্টমসে আবারও শুরু হচ্ছে নিলাম অযোগ্য পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রম।

ইতোমধ্যে ধ্বংস করার স্থানও চূড়ান্ত হয়েছে। নগরীর উত্তর হালিশহরে বে টার্মিনালের কাছে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্থানে ধ্বংস কার্যক্রম চালানো হবে। ধ্বংসের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করা হয়েছে ২১ মার্চ।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার উপ কমিশনার আলী রেজা হায়দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের জন্য আমাদের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। যার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে আমরা এসব পণ্য ধ্বংস করতে পারিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা স্থান ঠিক করতে পেরেছি।

‘আমাদের ভেন্ডরের মাধ্যমে উত্তর হালিশহরে বে টার্মিনালের কাছে একটি জায়গায় এসব পণ্য ধ্বংস করা হবে। জায়গার মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা সর্বশেষ একটি মিটিংয়ে পণ্য ধ্বংসের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ২১ মার্চ ঠিক করেছি। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। এর আগে কাস্টম হাউস থেকে একটি কমিটি করা হবে।’

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমদানি করা পণ্য আইনি জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে আমদানিকারকরা বন্দর থেকে খালাস করেন না। খালাস না হওয়া এসব কন্টেনার শিপিং কোম্পানির জন্যও বিপদের।

‘কারণ এসব কন্টেনারে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিতে হয়। আমদানিকারক খালাস না নিলেও বৈদ্যুতিক সংযোগ চাইলেও বিচ্ছিন্ন করা যায় না। বাতিল পণ্যগুলো ধ্বংস করার কারণে কনটেইনার জট কমবে।’

সর্বশেষ গত বছরের জুনে নগরীর উত্তর হালিশহরের বে টার্মিনাল সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় ২৯৮ কন্টেনার পণ্য ধ্বংস করে চট্টগ্রাম কাস্টমস।

এ বিভাগের আরো খবর