বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভবন অপসারণের পেছনে কে

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২২ ১৩:১৪

আজমিরীগঞ্জের স্থানীয় এসবি কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী স্বপন বণিক বলেন, ‘ভবনটি নিলাম করা হলে অন্তত ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হবে, কারণ এখান থেকে অন্তত ৫ টন রড বের হবে, যার বাজারমূল্য ৩ লাখ টাকা। পুরোনো ইটের বাজারমূল্য ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া গ্রিল, দরজা, জানালাসহ যাবতীয় মালামাল বেচা যাবে আরও কয়েক লাখ টাকা।’

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কয়েক বছর ধরে একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই পুরোনো এ ভবনটি অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়, কাজও শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে।

কিন্তু কে বা কারা ভবনটি অপসারণের দায়িত্ব নিয়েছে সে বিষয়ে জানে না কেউ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ দায় জেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওপর চাপালেও তারা উল্টো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকেই দুষছে।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে বিষয়টির অনুসন্ধান করতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে চিকিৎসকদের পুরোনো একটি ভবন দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। গেল বছরের প্রথম দিকে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার পরিদর্শনে ভবনটি তার নজরে আসে। এরপর সেটি অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

সোমবার কয়েকজন শ্রমিক ভবনটি ভাঙতে শুরু করেন। অথচ এর জন্য কোনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ইকবাল হোসেন জানান, ভবন ভাঙার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। বলেন, ‘কয়েক মাস আগে ভবনটি ভাঙার বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভাঙার কাজ শুরু হলে ভেবেছি প্রকৌশল অধিদপ্তর হয়তো শ্রমিক পাঠিয়েছে। তাই আমি কিছু জানতে চাইনি।’

এ বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী নিলয় পারভেজ বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ভবনটি ভেঙে অপসারণ করতে আমাদের অনুরোধ করে। এ কারণে কনস্ট্রাকশন কে-ইডব্লিউ-ইএমসিএসকে (জেবি) একটি চিঠি দিই। আমাদের স্বাস্থ্য প্রকৌশলের যাবতীয় কাজের বর্তমান চুক্তি তাদের সঙ্গে।

‘কিন্তু তারা জানিয়ে দেয়, এটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাজ, তাই তারা করবে না। পরে আমি আর এ বিষয়ে কিছু জানি না।’

আজমিরীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন অপসারণের কাজ সকালে শুরু হলে বিকেলে তা বন্ধ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার দুপুরে খবর পাই ভবনটি ভাঙা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু জানেন না দাবি করেন। বিষয়টি শুনে অবাক হয়েছি।

‘তাকে প্রশ্ন করেছি হাসপাতালের ভেতরে কারা এই ভবন ভাঙছে, সেটি আপনি জানবেন না কেন? তাই কাজ বন্ধ করে এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করতে বলেছি। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।’

ভবন ভাঙার কাজ করছিলেন কাউছার মিয়া নামের এক শ্রমিক। কার নির্দেশে তারা ভবন ভাঙছেন সেটি জানতে চাইলে তিনি সঠিক উত্তর দিতে চাননি।তিনি জানান, এক ব্যক্তি তাদের ভবন ভাঙতে বলেছেন তবে তার নাম ও ঠিকানা তারা জানেন না। এমনকি তার মোবাইল নম্বরও তাদের কাছে নেই বলে জানান।

আজমিরীগঞ্জের স্থানীয় এসবি কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী স্বপন বণিক বলেন, ‘ভবনটি নিলাম করা হলে অন্তত ৬ থেকে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হবে, কারণ এখান থেকে অন্তত ৫ টন রড বের হবে, যার বাজারমূল্য ৩ লাখ টাকা। পুরোনো ইটের বাজারমূল্য ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া গ্রিল, দরজা, জানালাসহ যাবতীয় মালামাল বিক্রি করা যাবে আরও কয়েক লাখ টাকার।’

এ বিভাগের আরো খবর