পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে বোমা হামলার মামলায় এক আসামির ১০ বছর এবং আরেক আসামির সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় হয়েছে। বাকি আসামিরা খালাস পেয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আদালত আরমান ওরফে মনিরকে ১০ বছরের এবং কবির হোসাইনকে সাত বছরের দণ্ড দিয়েছে। রায়ে দুই আসামির প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
খালাস পাওয়া ছয় আসামি হলেন আবু সাঈদ ওরফে সালমান, রুবেল ইসলাম ওরফে সুমন ওরফে সজীব, চান মিয়া, ওমর ফারুক, হাফেজ আহসান উল্লাহ মাহমুদ ও শাহজালাল।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কবির হোসেন, আরমান ও রুবেল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য পাঁচ আসামি জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে তারাও আদালতে হাজির হন।
রায় ঘোষণা শেষে কবীর হোসেন ও আরমানকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে থাকা রুবেল ইসলামকে খালাস ঘোষণার পর তাকে মুক্তির আদেশ দেন বিচারক।
রায় উপলক্ষে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। রাখা হয় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে হোসেনি দালান এলাকায় তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে জামা'আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিরা বোমা হামলা চালায়। এতে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
এ ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় এসআই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে ডিবি দক্ষিণের পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিউদ্দিন শেখ ২০১৬ সালের এপ্রিলে ১০ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১৭ সালের ৩১ মে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। ১০ আসামির মধ্যে জাহিদ হাসান ও মাসুদ রানা শিশু প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন। মামলাটিতে ৪৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।