সয়াবিন তেল, চিনি, পেঁয়াজ, চাল ও ডালসহ নিত্যপণ্য মজুদ করে সরকার নির্ধারিত দামের বাইরে কৃত্তিম দাম বৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এসব অসাধু লোকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি এসব পণ্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে কেন বিক্রি করা হবে না এবং ওএমএস নীতিমালার মধ্যে কেন যুক্ত করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
সৈয়দ মহিদুল কবীর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে আমাদের আবেদনের শুনানি হয়েছে। সবপক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশসহ রুল জারি করেছেন। আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২৬ এপ্রিল এ বিষয়ে পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।’
তেলসহ নিত্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে গত ৬ মার্চ রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী।
রিটে বাণিজ্যসচিব, খাদ্যসচিব, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
মুহিদুল কবির ছাড়াও বাকী তিন আইনজীবী হলেন- মো. মনির হোসেন, মোহাম্মদ উল্লাহ ও মো. রবিউল ইসলাম।
গত ১ মার্চ থেকে তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়াতে তেল বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলোর প্রস্তাব সরকার ফিরিয়ে দেয়ার পর বাজারে এই সংকট তৈরি হয়েছে।