পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানকে।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশের মাঠে হাদিসুরের জানাজা হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু্, বেতাগী উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান, বেতাগী পৌর মেয়র গোলাম কবীর, বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম, বাংলাদেশ মেরিন অ্যাকাডেমি বরিশালের কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান।
জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এমপি শমভু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাদিসুরকে হারিয়ে পরিবারটি এখন অসহায়। তার ভাইদের যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় সে জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলব।’
ক্যাপ্টেন আতিকুর বলেন, ‘হাদিসুর বাংলাদেশের কল্যাণে জাহাজে গিয়েছিলেন। আমরা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেয়ার পাশাপাশি পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’
এর আগে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে হাদিসুরের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। রাতে বাড়ির আঙিনাতেই রাখা হয় মরদেহ।
বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযান শুরু হলে আর ফিরতে পারেনি।
বন্দরে ২৯ নাবিক নিয়ে আটকা পড়েছিল জাহাজটি। এর মধ্যে গত ২ মার্চ সন্ধ্যায় রকেট হামলায় নিহত হন থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফ। পরদিন জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ২৮ নাবিক ও ক্রুকে সরিয়ে নেয়া হয় নিরাপদ স্থানে।
এরপর ৯ মার্চ টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ২৮ জন নাবিক দেশে এসে পৌঁছান। টার্কিশ এয়ারলাইনসের আরেকটি ফ্লাইটে সোমবার দুপুরে হাদিসুরের মরদেহ দেশে এসে পৌঁছায়।