বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই বছর পর ক্লাসে ফিরল শিশুরা

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২২ ১০:০৫

স্কুল শিক্ষক তাসমিয়া আহমেদ বলেন, ‘আমার মেয়ে ইস্পাহানিতে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এবার। সবাই বলছিল স্কুলে ভর্তি করে কি হবে? স্কুলে গিয়ে বাচ্চা তো আর ক্লাস করতে পারবে না। কিন্তু তারপরও আমি মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছি। সত্যিই আজকের দিনটি আমার মেয়ের জন্য সত্যিই স্পেশাল। শিশু শ্রেণির খুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পেরে খুশি শিক্ষকরাও।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর আজ থেকে শুরু হলো প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস। এতোদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ক্লাস হয়েছে সীমিত পরিসরে। আজ থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শ্রেণিতে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে।

তবে ক্লাস চালু হলেও এখনই প্রতিদিন ক্লাসে আসবে না প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিশুরা। আপাদত তারা সপ্তাহের দুই দিন (মঙ্গল ও রোববার) ক্লাসে অংশ নেবে।

রাজধানীর একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস চালু হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

মগবাজার মোড়ে দেখা হয় মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবারক আলমের বাবা মনিরুল আলমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এই দিনটির জন্য আমার ছেলে যে কত দিন অপেক্ষায় ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। কাল রাত থেকেই ছেলে খুবই খুশি সকালে স্কুলে যাবে এটা ভেবে।’

বাবার পাশে থাকা মোবারক নিজ থেকেই বলে ওঠে, ‘বাবা শুধু বলতো স্কুলে নিয়ে যাবে কিন্তু নিয়ে আসতো না। আজ সত্যি সত্যি নিয়ে আসলো। থ্যাংকিউ বাবা।’

একই ধরনের অনুভূতির প্রকাশ পেল স্কুল শিক্ষক তাসমিয়ার আহমেদের কণ্ঠে।

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ইস্পাহানিতে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এবার। সবাই বলছিল স্কুলে ভর্তি করে কি হবে? স্কুলে গিয়ে বাচ্চা তো আর ক্লাস করতে পারবে না। কিন্তু তারপরও আমি মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছি। সত্যিই আজকের দিনটি আমার মেয়ের জন্য সত্যিই স্পেশাল।

শিশু শ্রেণির খুদে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পেরে খুশি শিক্ষকরাও।

জানতে চাইলে মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুন নাহার বেগম বলেন, ‘অনেক দিন পর শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসলো। ওরা আসাতে স্কুলের পরিবেশটাই যেন পাল্টে গেল। সত্যিই খুব ভাল লাগছে।’

একই সুরে কথা বললেন ইস্কাটন গার্ডেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসাতে খুবই ভাল লাগছে। ওদের কোলাহলে আজ বিদ্যালয় পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’

২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।

সশরীরে ক্লাস শুরু হয় মাধ্যমিক স্কুলে। এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।

২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। আর ২ মার্চ থেকে আবারও শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস।

দেশে প্রথমে ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়।

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাস্তর রয়েছে যা ‘শিশু শ্রেণি’ নামে পরিচিত। ইংরেজি মাধ্যম ও কিন্ডারগার্টেনে প্লে, নার্সারি ও কেজি শ্রেণি প্রাক-প্রাথমিক স্তরের মধ্যে পড়ে।

এ বিভাগের আরো খবর