রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রাধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিলেও ছাত্রলীগের ২ নেতার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
টাকা নেয়ার পরও শিক্ষার্থীদের মধ্যরাতে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে বৈধভাবে আবাসিকতা পেয়েছে তাদের ১ হাজার টাকা করে গুনতে হচ্ছে।
সৈয়দ আমির হলে এ ঘটনায় অভিযুক্ত নেতারা হলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আল আমিন ও ছাত্রলীগ নেতা শেখ সিয়াম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমির হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলের ১৩৬, ১৩৭, ১৫৮, ১২৪, ১৫৮, ২৪৩, ৩২৯ ও ৩৩৬ নম্বর রুমে টাকার বিনিময়ে সিট বিক্রি করেছেন অভিযুক্তরা। এসব রুমে ১২ জন শিক্ষার্থী উঠিয়ে তাদের কাছ থেকে সিটপ্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়।
প্রতিবন্ধী বা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদেরও ছাড় দেয়া হয়নি। এক সিট থেকে অন্য সিটে গেলে মিষ্টি খাওয়ার নামে টাকা আদায় করা হয় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। অভিযুক্তদের একজন ৪ হাজার টাকা ধার নিয়ে নিজের রুমে রেখেছিলেন ফিরোজ নামের এক শিক্ষার্থীকে। কিন্তু পরে ধারের টাকা ফেরত চাওয়ায় মধ্যরাতে নামিয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে।
তবে এ ঘটনা জানতে ফিরোজের সঙ্গে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শেখ সিয়াম বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যারা রাজনীতি করে তাদের সিটে উঠিয়েছি। কোন রুমে কখন কাকে উঠিয়েছি, মনে নেই।’
তবে টাকা নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
অভিযুক্ত আল-আমিনকে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তিনিও রিসিভ করেননি। পরে এসএমএস পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
সার্বিক বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সিট বাণিজ্যের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্সে অবস্থান নিয়েছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। হল সম্মেলনে এ ধরনের অভিযোগ মাথায় রেখে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।’
সৈয়দ আমির আলী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমাদের হলে সিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি, যদি আসে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’