ভুয়া বাদী সেজে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই নারীকে পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তারা হলেন বিউটি আক্তার ও মনিকা।
ঢাকার মহানগর হাকিম শুভ্রা চক্রবর্তী সোমবার ওই দুই নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার এই আদেশ দেন।
আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোতোয়ালি থানার এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসামি দুই নারীকে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন। বিচারক এক দিন রিমান্ডের আদেশ দেন।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ফেব্রুয়ারি মাসে বিউটি যৌতুকের মামলা করেন। বিচারক রাশেদ কবির মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য সাক্ষ্য দিতে হাজির হন বাদী বিউটি আক্তার ও সাক্ষী মনিকা।
সাক্ষ্যগ্রহণের সময় বাদীর কথাবার্তায় হাকিম নুরুল হুদার সন্দেহ হয়। তিনি বাদীকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে একপর্যায়ে বিউটি আক্তার স্বীকার করেন যে, ‘পিটিশন মামলার আসামি মারজানুল হককে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। সিলেটের মজিবুর রহমানের কথায় এবং অর্থলোভে মিথ্যা মামলায় বাদী হতে তিনি সম্মত হয়েছেন। মামলার যাবতীয় কাগজপত্র, বিউটির ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাল নিকাহনামা মজিবুর রহমান প্রস্তুত করে দেন।
পরে বিচারকের নির্দেশে আদালতের বেঞ্চ সহকারী সেখ তানভীর রেজা মুন্না মামলা করেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের এক বেঞ্চ সহকারী রোববার মোছা. বিউটি ও মনিকা নামে দুই নারীকে থানায় নিয়ে আসেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভুয়া মামলার বাদী ও সাক্ষী। এ অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছি আমরা।’