সাতক্ষীরা সদরে শিশুকে ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগে তার মামীকে আটক করেছে পুলিশ।
চিকিৎসাধীন শিশুটি জানিয়েছে, মামীই তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করেছেন। পরে ফেলে রেখে গেছেন নদীর তীরে।
সদরের চরবালিথা গ্রাম থেকে রানী বেগম নামে ওই নারীকে সোমবার বিকেলে আটক করা হয় বলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
শিশুটিকে সোমবার দুপুরে সদর চরবালিথার মরিচ্চাপ নদীর তীর থেকে উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৫ বছরের শিশুটি মামা আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে থাকত। মায়ের মৃত্যুর পর ও বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় নানির কাছে থাকার জন্য তাকে সেখানে পাঠানো হয়। মামী রানীকে সে মা বলে ডাকত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোমবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রানী শিশুটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে জখম করেন। শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে মৃত ভেবে তাকে নদীর তীরে ফেলে রাখেন। শিশুর ছোট মামা আশিকুজ্জামান তাকে মৃতপ্রায় অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন শিশুটি মামীর নির্যাতনের কথা সবাইকে জানায়।
এসপি মোস্তাফিজুর জানান, শিশুর অভিযোগেই রানী বেগমকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি, ফারহানের দুটো চোখই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার ঠোঁট, গলা ও শরীরের কয়েক জায়গায় কাটা দাগ রয়েছে।’