বগুড়া সদরে শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে এক আসামি আদারতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য ৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
সদর উপজেলার ইসলামপুর হরিগাড়ী গ্রাম থেকে রোববার রাত পৌনে ১ টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) শাহীনুজ্জামান।
মামলার বরাতে তিনি জানান, ওই নারী সদর উপজেলার একটি জুট মিলে কাজ করেন। গত ১১ মার্চ রাতে মিলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠান শেষে মিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়।
বাদী জানান, এ সময় তার সহকর্মী মোহন ফোন খুঁজে দেয়ার কথা বলে পাশের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন মোহন ও তার ৬ সহযোগী। এই ঘটনাকে কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। ঘটনার দুইদিন পর পরিচিতদের পরামর্শে রোববার রাতে সদর থানায় ৭ জনের নামে মামলা করেন ওই নারী শ্রমিক।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহীনুজ্জামান আরও জানান, মামলার পর ৫ আসামিদের গ্রেপ্তার করে সোমবার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়। সেখানে আসামি মোহন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য ৪ জনকে যশোর কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।