বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোটের লড়াই শুরু সকালে  

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ২২:২৭

গতবারের নির্বাচনে সভাপতি পদসহ আটটি পদে আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেল জয় লাভ করে। অন্যদিকে সম্পাদক পদসহ ছয়টি পদে জয় লাভ করে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল। তবে টানা ৯ বছর ধরে সম্পাদক পদটি ধরে রেখেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে মঙ্গলবার। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছে উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণ। পুরো প্রাঙ্গণে বিরাজ করছে নির্বাচনি আমেজ। শেষ সময়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তারা।

দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণে যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গল ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এ জন্য সমিতির অডিটোরিয়ামে ৫২টি বুথ বসানো হয়েছে।

অন্যান্য বারের মতো এবারও দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যেই মূল প্রতিন্দ্বন্দিতা হবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা) ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য (নীল) প্যানেলে এ নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন।

গতবারের নির্বাচনে সভাপতি পদসহ আটটি পদে আওয়ামী সমর্থিত সাদা প্যানেল জয় লাভ করে। অন্যদিকে সম্পাদক পদসহ ছয়টি পদে জয় লাভ করে বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল। তবে টানা ৯ বছর ধরে সম্পাদক পদটি ধরে রেখেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।

জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা জানিয়ে সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমরা পুরো প্যানেল নিয়ে আশাবাদী। ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছি, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি অন্যায় কাজ করিনি। শততা-নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভোটাররা আমাকে নিরাশ করবেন না।’

অন্যদিক নীল প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবার আমাদের যে প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে তাতে আমরা পুরো প্যানেলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এর আগে আমি দুই টার্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ওই সময় বারের ওকালতনামা চুরি রোধসহ বারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছি। সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি। এ ছাড়া করোনার সময়েও বারের সম্পাদক হিসেবে রুহুল কুদ্দুস কাজল যে কাজ করেছেন তাতে আমরা দুজনসহ পুরো প্যানেলেই জয় লাভ করব।’

গতবার সভাপতি পদটি হাত ছাড়া হলেও এবার সভাপতি পদেও জয় লাভ করবেন বলেও আশা জানান তিনি।

সাদা প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. আব্দুন নূর দুলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। প্রত্যাশা করি ভোটাররা পরিবর্তন এবং উন্নয়নের পথে হাঁটবে।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ বছর ধরে দুজন ব্যক্তি সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ বছরও যদি কোনো কারণে না হয় তাহলে ১০ বছর ধরে সম্পাদক পদে দুইজন ব্যক্তি হয়ে আসছেন। এটা সুপ্রিমকোর্টের মত জায়গায় কোনোভাবেই মানায় না। আমরা পরিবর্তন, উন্নয়ন এবং আইনজীবীদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

মো. আব্দুন নূর দুলাল বলেন, ‘যতটুকু দেখেছি ভোটারদের মধ্যে পরিবর্তনের একটি আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। ভোটাররা পরিবর্তন চায়। আমি আশাবাদী এবার সম্পাদক পদে জয় আসবে।’

অন্যদিকে নীল প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজল বলেন, ‘এই করোনা মহামারির সময়েও সারাবছরই আইনজীবীদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আইনজীবীরা বিবেকবান। আশা করি তারা আমাকে নিরাশ করবেন না।’

এবারের নির্বাচনে ১৪ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের ১৪ জন, বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেলের ১৪ জন এবং বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন।

নির্বাচনে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থী হয়েছেন- সভাপতি পদে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, সহসভাপতি পদে মোহাম্মদ হোসেন ও মো. শহীদুল ইসলাম এবং সম্পাদক পদে মো. আবদুন নুর দুলাল।

অন্যদিকে সহসম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মো. হারুনুর রশিদ ও এ বি এম হামিদুল মিসবাহ এবং কোষাধ্যক্ষ পদে মো. ইকবাল করিম।

সাত সদস্য পদে প্রার্থী লড়ছেন হাসান তারিক পলাশ, মো. মনিরুজ্জামান রানা, মুনমুন নাহার, সুব্রত কুমার কুণ্ডু, শফিক রায়হান শাওন, শাহাদাত হোসাইন রাজিব ও ফাতেমা বেগম।

অন্যদিকে বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) সভাপতি পদে প্রার্থীরা হয়েছেন বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা বাদল, সহসভাপতি পদে মনির হোসেন ও মো. আসরারুল হক। এছাড়া সম্পাদক পদে ভোটে লড়বেন মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল ।

অন্যদিকে কোষাধ্যক্ষ পদে লড়বেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সহসম্পাদক পদে মাহফুজ বিন ইউসুফ ও মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।

এছাড়া সাতটি সদস্য পদে প্রার্থীরা হলেন মো. গোলাম আক্তার জাকির, মঞ্জুরুল আলম সুজন, মাহদীন চৌধুরী, ফাতিমা আক্তার, মোহাম্মদ ফয়সাল দস্তগীর, মো. মোস্তফা কামাল বাচ্চু ও আনোয়ারুল ইসলাম।

এই দুই প্যানেল ছাড়াও সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। একই পদে প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দও।

এর বাইরে সহসভাপতি পদে একজন এবং সহসম্পাদক পদে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচন উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার অনিক আর হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার এবং বুধবার দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণের জন্য আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার ৮ হাজার ৬২৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এজন্য ৫২টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার ভোট গণণা করে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর