বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোক্তা অধিকার দিবসে আজ নানা কর্মসূচি

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ২১:২০

‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালনে আলোচনা, শোভাযাত্রাসহ দেশব্যাপী আজ নানা কর্মসূচি নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ মঙ্গলবার। বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের অধিকতর সচেতন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশসহ ১২০টি দেশে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হয়। দেশে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দিবসটি পালনে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এবারও দিবসটি পালনে দেশব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হবে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে থাকছে আলোচনার সভা।

দিবসটি পালন উপলক্ষে সব ক্রেতা-ভোক্তার কাছে মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে পাঠানো হবে খুদে বার্তা। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো আলোকসজ্জিত করা হবে। সাঁটানো হবে ব্যানার-ফেস্টুন। বিলি করা হবে লিফলেট। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় রঙিন ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। থাকবে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের ব্যবস্থা। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় থাকছে গোলটেবিল বৈঠক ও টকশোর আয়োজন। একইভাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে ১৭ ধরনের অপরাধে দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার উপবিভাগ) বিকাশ চন্দ্র দাস নিউজবাংলাকে জানান, ‘প্রতিষ্ঠার পর ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ৪৯ হাজার ৯৬৮টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ২০ হাজার ১০২টি উৎপাদক ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে দণ্ড দেয়া হয়েছে।

বাজার কিংবা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিচালিত এসব অভিযানে জরিমানা করা হয় মোট ৮২ কোটি ৪৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪২ টাকা।

‘এই সময়ে ভোক্তারা ৫৬ হাজার ১২৪টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৭৫৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়। এতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ৭ হাজার ২৮১টি প্রতিষ্ঠানকে দণ্ড দেয়া হয়। লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে আদায়কৃত জরিমানার পরিমাণ ৫ কোটি ৯ লাখ ৪৩ হাজার ২০৮ টাকা।’

তিনি জানান, প্রত্যেক অভিযোগকারীকেও অভিযোগ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে দণ্ড হিসেবে আদায় হওয়া অর্থের ২৫ শতাংশ দেয়ার বিধান রয়েছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে এরূপ অর্থ পেয়েছেন মোট ৭ হাজার ১৮৫ জন। যার আর্থিক পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে প্রথম ভোক্তা স্বার্থরক্ষায় ভোক্তার চারটি অধিকার নিয়ে আলোচনা করেন। এগুলো হলো- নিরাপত্তা, তথ্যপ্রাপ্তি, পছন্দ ও অভিযোগ প্রদানের অধিকার।

কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ আরও বিস্তৃত করে আরও আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসেবে বৈশ্বিকভাবে পালিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশে ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকারবিরোধী কাজ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে সরকার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করে। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই অধিদপ্তর।

এ বিভাগের আরো খবর