বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইডিয়া আর ঝুঁকি সমন্বয় করে এগোতে চায় ব্র্যাক

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫৫

‘যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তার কাছে আগে পৌঁছাতে হবে’- এমন প্রত্যয় নিয়ে আগামী দিনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় ব্র্যাক। ৫০ বছর ধরে মানুষের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে থাকা প্রতিষ্ঠানটি আগামীতেও সেই ধারা ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছে।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে দারিদ্র্য বৃদ্ধি, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে খাদ্যসংকটের শঙ্কা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দেশ ও দেশের বাইরে আইডিয়া আর ঝুঁকি সমন্বয় করে আগামী দিনের কর্মসূচি নিতে চায় ব্র্যাক।

ব্র্যাকের সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সোমবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বাংলাদেশ গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল সুপারভাইজরি বোর্ডের চেয়ার আইরিন খান, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামারা হাসান আবেদ ও ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক শামেরান আবেদ।

‘যার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি, তার কাছে আগে পৌঁছাতে হবে’- এমন প্রত্যয় নিয়ে আগামী দিনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে চায় ব্র্যাক। ৫০ বছর ধরে মানুষের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে থাকা প্রতিষ্ঠানটি আগামীতেও সেই ধারা ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছে।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আগামী দিনে আরও বড় পরিসরে, বিশ্ব পরিসরে রাষ্ট্র ও সামাজিক সংগঠনগুলোর আন্তসম্পর্ক জোরদার করতে আমরা ভূমিকা রাখতে চাই।’

এ লক্ষ্যে আগামী বছর গ্লোবাল সাউথ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

ব্র্যাককে ‘আইডিয়া ও ঝুঁকির সমন্বয়’ উল্লেখ করে আইরিন খান বলেন, ‘গত কয়েক বছর বিশ্বজুড়ে নানা সংকট দেখা দিচ্ছে। কোভিড-১৯ মহামারিতে ১০ কোটি মানুষ অতিদরিদ্র হয়ে গেছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেবে। তার সঙ্গে রয়েছে ব্যাপকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। তাই দেশ ও দেশের বাইরে আইডিয়া ও ঝুঁকির সমন্বয় করেই ব্র্যাক এসব মোকাবিলায় কর্মসূচি চালাবে।’

আসিফ সালেহ বলেন, ‘ব্র্যাক এবং বাংলাদেশ প্রায় সমার্থক। বাংলাদেশের অভ্যুদয় না হলে যেমন ব্র্যাকের জন্ম হতো না, তেমনি বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে ব্র্যাক কাজ না করলে এর বিকাশ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়তো আরও অসম হতো।’

সরকারের সহযোগিতা না থাকলে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব হতো না বলেও মনে করেন তিনি। বলেন, ‘এ জন্য সরকার ও দেশবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

তামারা হাসান আবেদ বলেন, ‘আমাদের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য মুনাফা অর্জন নয়, দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন। সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আমরা একদিকে দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করি, অন্যদিকে এর অর্জিত উদ্বৃত্ত দিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করি।

‘একটি সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমাদের সামনে নতুন আরও অনেক সমস্যা এসেছে। তখন পিছিয়ে না এসে তা সমাধানের জন্য নতুন কোনো উদ্যোগ তৈরি করেছি। দরিদ্র মানুষের সঙ্গে মিলে সমাধানের পথ খুঁজে বের করেছি।’

শামেরান আবেদ বলেন, ‘২০০২ সালে শুরু করে গত ২০ বছরে ১৩টি দেশে কাজ করলেও এখন ৯টি দেশে সরাসরি কাজ করছি আমরা। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা যেমন ওইসব দেশে কাজে লাগছে, তেমনি বিদেশের অনেক অভিজ্ঞতাও আমরা এখানে কাজে লাগাচ্ছি।’

১৯৭২ সালে সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকা শাল্লায় ফিরে আসা শরণার্থীদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন ফজলে হাসান আবেদ।

নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের ১০টি দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে এই সংস্থা। সাত বছর ধরে বিশ্বের শীর্ষ এনজিওর স্বীকৃতিও অর্জন করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশে ব্র্যাক শুধু একটি উন্নয়ন সংস্থা নয়, এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক ইকোসিস্টেমের নাম বলেও মনে করেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক ব্যবসাসহ নানামুখী উদ্যোগ।

এ বিভাগের আরো খবর