বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা হচ্ছে’

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৯:৫৪

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এত বড় দলের একজন মহাসচিব, যিনি মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি কীভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিনোদন মাধ্যমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললেন সেটা দেখে আমার নিজেরও লজ্জা লেগেছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম গুলিয়ে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা করার বিষয়টিকে ফখরুল রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এরপরও কেউ কেউ এ বিষয়টিকে কেন রাজনীতিতে টেনে আনেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমি আশ্চর্য হলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলিয়ে ফেলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এত বড় দলের একজন মহাসচিব, যিনি মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি কীভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিনোদন মাধ্যমকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললেন সেটা দেখে আমার নিজেরও লজ্জা লেগেছে।’

সোমবার সচিবালয়ে ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তাকে যারা পরামর্শ দিয়েছেন তাদের উচি ছিল তাকে সৎ পরামর্শ দেয়া। তারও প্রয়োজন ছিলে এটি নিয়ে জেনেশুনে কথা বলা। তবে এটিকে নিয়ে রাজনীতির ইস্যু বানানোর চেষ্টা করেছেন। সব কিছুতে রাজনীতি নিয়ে আসাটা সেটি কখনও সমীচীন নয়।’

শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দ্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিটি প্ল্যাটফর্মস-২০২১ এবং ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা প্রদান এবং পরিচালনা নীতিমালা-২০২১ কে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট পোক্ত করতেই এই দুই নীতিমালা করা হয়েছে, যাতে আরও শক্ত করে ধরা যায়। দেশের জনগণের বাক-স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে, সংবাদপত্র, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম এবং দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে বিটিআরসি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এই দুই নীতিমামলাসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ওটিটি প্লাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিট্যাব, নাট্যকার সংঘসহ আরও একটি সংগঠনের নেতারা এখানে এসেছেন। আমাদের সরকার প্রয়োজনীয়তার নিরিখে এবং সকলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করছে।’

তিনি বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম কোনো গণমাধ্যম নয়। এটি একটি বিনোদন মাধ্যম। এটি কোনো পত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও নয়৷ এটি আজকের পৃথিবীর ক্রমবধ্যমান বিনোদন মাধ্যম। এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা, নাটকসহ আরও অনেক কিছু রিলিজ হয়।

‘মানুষ সেটি অত্যন্ত সহজভাবে দেখতে পারে যে কোনো জায়গায়, যেকোনো পরিবেশে ও সময়ে। সিনেমা হলে তো টিকেট কেটে যেতে হয়। সিনেমা হলের বিকল্প ওটিটি প্লাটফর্ম নয়। এরপরও এটি একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে বিনোদন মাধ্যমে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি বিদেশি কিছু ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেশের বাজারটা ইনভেইট করেছে। আমি নাম বলতে চাই না, পাশ্ববর্তী দেশসহ বেশ কিছু দেশের ওটিটি প্লাটফর্ম আমাদের দেশের বাজারকে ইনভেইট করেছে।

‘এই প্লাটফর্মে অনেক কিছু আপলড হয় যা, আমাদের দেশে কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের জন্য সাংঘর্ষিক। আমরা অতীতে দেখেছি এখানে এমন কিছু আপলোড হয়েছে যা আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে এসেছে, যেগুলো আমাদের মূল্যবোধের ওপর আঘাত হানে। এগুলো নিয়ে পত্রপত্রিকায় অনেক লেখালেখি হয়েছে।’

অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলেই ওটিটি নীতিমালা করা হচ্ছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তখন আমাদের দেশে একটি দাবি উঠেছিল একটি নীতিমালা করার জন্য। সব কিছুরই একটি নীতিমালা থাকতে হয়। সেজন্য আমরা একটি নীতিমালা করার জন্য হাত দিয়েছি।

‘সেখানে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সেটা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে আরও মতামত চেয়ে। এরপরই এটি চূড়ান্ত হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কিছু যেন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে না যায়। সেখানে এমন কোনো কিছু যাতে আপলোড না হয়, যা নতুন প্রজন্ম ও সমাজকে মিসলিড করবে।

‘এছাড়া বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো যেন আমাদের দেশে ইনভেইট করতে না পারে এবং আমাদের দেশে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো যাতে সুরক্ষা পায়। সরকার চায় এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের বিনোদন মাধ্যম বিকশিত হোক এবং সৃজনশীল বিষয় সেখানে উঠে আসুক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নীতিমালা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মটি যেন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। এছাড়া আমাদের দেশে যে সকল ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ধীরে ধীরে বাজারে আসছে তাদের যেন সুরক্ষা হয়। আর বিদেশি ওটিটি প্লাটফর্মগুলো আমাদের দেশে যথেচ্ছভাবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাজার দখল করছে। সেটা কোনো দেশে হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এ কারণে ভারতে অনেক আগেই একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ওটিটি প্লাটফর্মে কোনো জিনিস আপলোড করতে হলে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। আমরা কিন্তু সেটা করতে চাই না।’

এ বিভাগের আরো খবর