পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আফনানা জান্নাত কেয়া এই মামলা করেন।
কেনিয়ার নাইরোবির বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক কর্মকর্তা জাকিরের বিরুদ্ধে করা মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত মো. জাকির হোসেন ১৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৭ হাজার ৬৯৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, জাকির হোসেন একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের ৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৭ হাজার ২ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে মানিলন্ডারিং করেন।
১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন জাকির হোসেন। এরপর ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত ছিলেন তিনি।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১-২০২২ করবর্ষের আয়কর নথি অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকিরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ধানমন্ডিতে একটি ফ্ল্যাট, ঢাকার খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়ায় ২৬৩ অযুতাংশ জমির ওপর ৫ তলা ভবন, সঞ্চয়পত্রে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা ও নামে-বেনামে বেশ কিছু সম্পদের সন্ধান পায় দুদক।