নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনাদের ধরে নিতে হবে, প্রধানমন্ত্রী যখন এই কথা বলবেন তারপরই দ্রব্যের দাম বেড়ে যাবে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ, এই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী।
‘জনগণ খেতে না পেয়ে বাঁচল কিংবা মরল; এর কোনো তোয়াক্কা করে না এরা। এরা সেই আওয়ামী লীগ, যখন মানুষ খেতে না পেয়ে ফুটপাথে কাতরাচ্ছে। তখন তারা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াবে। এটাই তাদের ঐতিহ্য।’
তিনি বলেন, ‘৭৪-এর দুর্ভিক্ষের সময় দেশের মানুষ যখন খেতে না পেয়ে মারা যাচ্ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারে সোনার মুকুট পরে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা পাকাপোক্ত ও পথের কাঁটা যেন না থাকে, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।’
বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামকে বাঁচা-মরার সংগ্রাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার অনেক কিছুই হত্যা করবে। এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতাকে হত্যা করেছে, গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোকে হত্যা করেছে। এরা হত্যা ও রক্তক্ষরণ ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।
‘আর এগুলো নিশ্চিত করার জন্যই গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে, সেই অভিযোগপত্রের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, কিছুই নেই। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করে সাজা দেয়া হয়েছে।’
সরকারি দলের দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় যাতে আন্দোলন করতে না পারে এ জন্য খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। সরকারের দুর্নীতির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আজ কঠিন হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এর থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জিনিসপত্রের দামের পেছনে একমাত্র দায়ী এই অবৈধ সরকার। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
‘এ দেশের মানুষকে বাকশাল থেকে মুক্ত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। গণতন্ত্র আজ বন্দি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করব। সেই লড়াইয়ে মহিলাদের অংশগ্রহণ করতে হবে।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।