বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সূচক অবস্থান ধরে রাখলেও কমল লেনদেন

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৫:১৯

১৬৭টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭৮টি কোম্পানির দরপতনের ভিড়ে ৫৩টি কোম্পানির দর কমেছে নতুন সার্কিট ব্রেকার। আরও ২০টির বেশি কোম্পানি দর পতনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি থেকে লেনদেন শেষ করেছে। লেনদেন হয়েছে ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

টানা চার দিন উত্থান শেষে দেশের পুঁজিবাজারে সূচক সামান্য কমেছে। পাশাপাশি কিছুটা কমেছে লেনদেন।

ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ার পর পর পর দুই দিন লেনদেন হলো এক হাজার কোটি টাকার নিচে, যদিও আগের দিন নয় কর্মদিবস পরে লেনদেন হাজার কোটির ওপরে উঠে এসেছিল।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হয় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে। পরে দিনভর উত্থান পতনের মধ্যে বেলা শেষে ১.৭৯ পয়েন্ট কমে শেষ হয় তা।

সূচকের এই কমে যাওয়া একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল এমন নয়। আগের চার দিন বাড়ার কারণে কিছুটা সংশোধন হতেই পারে- এমন একটি ধারণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আগেই।

তবে সংশোধনে সূচকের পতনের খুব বেশি সুযোগ নেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা দুই শতাংশ নির্ধারণ করে দেয়ায়।

১৬৭টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ১৭৮টি কোম্পানির দরপতনের ভিড়ে ৫৩টি কোম্পানির দর কমেছে নতুন সার্কিট ব্রেকার। আরও ২০টির বেশি কোম্পানি দর পতনের সর্বোচ্চ সীমার কাছাকাছি থেকে লেনদেন শেষ করেছে।

লেনদেন হয়েছে ৯৮৬ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৯৯৮ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।

গত বৃহস্পতিবার ৯ কর্মদিবস পর লেনদেন এক হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা হয়েছিল।

এরপর সেখান থেকে লেনদেন কমে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে, বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা এলেও শেয়ার কেনায় সতর্ক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক উঠানামা করেছে পুরোটা সময়

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দেয়, সেখান থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায় গত ৮ মার্চ। সেদিনও এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই সূচক ১৩৭ পয়েন্ট কমে গেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিশেষ উদ্যোগে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়।

এরপর থেকে টানা চার দিনে সূচকে যোগ হয় ৩০৯ পয়েন্ট। আগের ৮ কর্মদিবসে সূচক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ৩৮২ পয়েন্ট।

বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিল থেকে এক শ কোটি টাকা জরুরি ভিত্তিতে বিনিয়োগের ঘোষণা কাজ করেছে। এর পর আসে আরেক সিদ্ধান্ত। একদিনে কোনো কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা হয় ২ শতাংশ।

এরপর বাজারে তারল্যপ্রবাহ বাড়াতে বিএসইসি ব্যাংক ও সম্পদ ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে বৈঠক করে। ৯ মার্চ ব্যাংক ও পরের দিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনাকারী সম্পদ ব্যবস্থাপকরা পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

সোমবার খাতওয়ারি সবচেয়ে ভালো দিন গেছে জীবন বিমা খাতের। এই খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে ১২টিরই দর বেড়েছে। কমেছে একটির।

৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির। কমেছে কেবল একটির। বাকিগুলো দর ধরে রাখতে পেরেছে।

সিমেন্ট খাতের সাতটির মধ্যে ৬টি, কাজগ ও আনুষঙ্গিক খাতের ৬টির মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে।

ব্যাংক, ফার্মা, প্রকৌশল ও খাদ্য খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আগের দিন বস্ত্রের প্রায় সব কোম্পানির দর বাড়লেও এদিন কমেছে বেশিরভাগের।

দর বৃদ্ধির সেরা দশে বস্ত্রের প্রাধান্য

এদিন সবচেয়ে বেশি ৯.৮১ শতাংশ বা ৩ টাকা ৭০ পয়সা বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতের বিডিকমের দর। এ নিয়ে টানা ছয় কর্মদিবস শেয়ারটি লেনদেন হলো দিনের সর্বোচ্চ সীমায়।

গত ৩ মার্চ শেয়ারের দর ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সা, সেখান তেকে এখন তা উঠে এসেছে ৪১ টাকা ৪০ পয়সায়।

দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় লেনদেন হয়েছে জেড ক্যাটাগরির লোকসানি কোম্পানি সাভার রিফ্রাকটরিজেরও। ৮.৭৩ শতাংশ দর বেড়েছে কোম্পানিটির।

আর কোনো কোম্পানির দর সার্কিট ব্রেকার ছুঁতে পারেনি।

দর বৃদ্ধির সেরা ১০ কোম্পানিতে থাকা অন্য সাতটি কোম্পানির মধ্যে চারটিই বস্ত্র খাতের। এগুলো হলো এনভয় টেক্সটাইল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, ভিএসএফ থ্রেড ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস।

বাকি তিন কোম্পানি হলো ফার কেমিক্যাল, রূপালী লাইফ ও এশিয়ান টাইগার মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

দর পতনের সেরা ১০

এই তালিকাতেও দেখা গেছে বস্ত্র খাতের প্রাধান্য। শীর্ষে ছিল আলিফ ম্যানিফেকচারিং কোম্পানি, যার দর কমেছে ২ শতাংশ। বাকি ৯টি কোম্পানির মধ্যে আরও চারটি একই খাতের।

কোম্পানিগুলো হলো এম এল ডায়িং, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ম্যাকসন্স স্পিনিং ও আমান কটন।

বাকি ৫ কোম্পানির মধ্যে খাদ্য খাতে ছিল দুই লোকসানি কোম্পানি জিলবাংলা ও মেঘনা পেট, প্রকৌশল খাতের বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম ও ইয়াকিন পলিমার এবং জ্বালানি খাতের অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন।

লেনদেনে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ

গত কয়েকদিনের মতো আবার এই তালিকার শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিডেট। ৫৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি কোম্পানির।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ২০ লাখ টাকা হাতবদল হয়েছে ভিএসএফ থ্রেডের।

অন্য আটটি কোম্পানি হলো বিডিকম, অগ্নি সিস্টেমস, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, কেয়া কসমেটিকস, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং ড্রাগন সোয়েটার।

এ বিভাগের আরো খবর