বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যুদ্ধাপরাধীর সম্পত্তি পরিত্যক্তর বিধান রেখে খসড়া পাস

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৪:৪৫

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নতুন আইনে কিছু নতুন জিনিস আনা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর মামলায় যদি কেউ দণ্ডিত হন, কোর্ট যদি তার জমিজমা-সম্পত্তি সিজ করে নেয়, তবে সেটাও পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে পড়বে, যেটা আগে ছিল না।

আদালত ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত হলে পরিত্যক্ত সম্পত্তি বিবেচনার বিধান রেখে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন, ২০২২’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

একইসঙ্গে পরিত্যক্ত সম্পত্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যাস্ত করা হয়েছে এই খসড়া আইনে।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনটির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকার প্রধান। পরে বৈঠকের বিস্তারিত গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘এটা ১৯৮৫ সালের অধ্যাদেশ। আমাদের দেশের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হচ্ছে যারা ১৯৭১ সালে দেশ ত্যাগ করে চলে গেছে, তখন বিধি-বিধান করে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি হ্যান্ডেল করা হতো। সেটা পরবর্তী সময়ে ১৯৮৫ সালে একটি অর্ডিন্যান্স করা হয়। যেহেতু এটা সামরিক শাসনামলের অর্ডিন্যান্স সেজন্য হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী নতুন আইন হিসেবে আনতে হচ্ছে।

‘আগের মতোই হচ্ছে, ছোটখাটো দু-একটি সংশোধন আনা হয়েছে। আইনের মৌলিক বিষয়টি ছিল পরিত্যক্ত সম্পত্তিগুলো অর্থাৎ বাড়িগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। জমিজমা নয়। দু-ভাগের মধ্যে ছিল- একটি তিন শতাংশ জমিসম্পন্ন বাড়ি, আরেকটি তিন শতাংশের বেশি জমির বাড়ি।’

তিনি বলেন, ‘তিন শতাংশের বাড়িগুলোকে সেইল লিস্ট বলা হতো। যেগুলো তিন শতাংশের বেশি জমির সেগুলো নিয়ে রিটেইল লিস্ট। সেইল লিস্টের বাড়িগুলো যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে অগ্রাধিকার অনুযায়ী ১৯৭২ সালের দাম অনুযায়ী দিয়ে দেয়া হয়েছে।

‘আর রিটেইল লিস্টের বাড়িগুলো পূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায়। এসব জমিতে অনেক অফিস আছে। এগুলো সরকারি বাড়ি হিসেবে পূর্ত মন্ত্রণালয় বিভিন্ন দপ্তরকে লিজ বা ভাড়া দিয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইনে কিছু নতুন জিনিস আনা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীর মামলায় যদি কেউ দণ্ডিত হন, কোর্ট যদি তার জমিজমা-সম্পত্তি সিজ করে নেয়, তবে সেটাও পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে পড়বে, যেটা আগে ছিল না।

‘আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রমাণিত বা ঘোষিত কোনো ব্যক্তির বাড়ি বা সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে সংযুক্ত বা বাজেয়াপ্ত করে তবে তা পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন বাড়িগুলোর যে মূল্য হয়েছে, মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন বড় বড় অফিসাররা গুলশান-বনানীতে যেসব বাড়িতে থাকেন, এগুলো ৯৯ শতাংশই পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এসব বাড়ির মূল্য অনেক বেড়ে গেছে। এক-একটি বাড়ির দাম কয়েশ কোটি টাকাও হবে।’

‘সেজন্য আইনে একটি সংশোধনী আনা হয়েছে। আগে ছিল, সরকার এই বাড়িগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। এখন এখানে সংশোধনী আনা হয়েছে, সরকারপ্রধান এটা করবেন। এসব বাড়ির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন সরকারপ্রধান।’

এ বিভাগের আরো খবর