বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মামলায় ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ আসছে

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১৩:২৬

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের ক্যাবিনেটে প্রথম যে আইনটা ছিল, সেটা হলো এভিডেন্স অ্যাক্টের একটা অ্যামেন্ডমেন্ট, এটা এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন। এটা আইন ও বিচার বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।’

মামলায় ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ রেখে এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রস্তাবিত আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

এতে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

বৈঠক শেষে বিস্তারিত সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। ওই সময় তিনি বলেন, ‘আজকের ক্যাবিনেটে প্রথম যে আইনটা ছিল, সেটা হলো এভিডেন্স অ্যাক্টের একটা অ্যামেন্ডমেন্ট, এটা এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন। এটা আইন ও বিচার বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

‘আপনারা জানেন, গত কোভিডের পর থেকে অনলাইনে মামলা-মোকদ্দমা চলছিল। এর ফলে সাক্ষী-প্রমাণ সব অনলাইনেই আসছিল, কিন্তু আমাদের এভিডেন্স অ্যাক্টে আবার এ রকম ডিজিটাল এভিডেন্সের সরাসরি কোনো বিধান ছিল না। কেউ যদি মামলায় হেরে যেত, সে যদি আবার আপিল করে উপরের কোর্টে, সে ক্ষেত্রে আইনি কিছু জটিলতা হওয়ার সুযোগ ছিল। এটা অনেক দিন ধরেই আলোচনায় ছিল। এ জন্য তারা এটা নিয়ে এসেছেন। এখন থেকে ডিজিটাল যে এভিডেন্স, সেগুলোও গ্রহণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে যাতে কেউ ফলস বা ম্যানিপুলেটেড এভিডেন্স পুটআপ (ভুয়া বা কারসাজি করা তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন) করতে না পারে, এ জন্য প্রয়োজনবোধে কোর্ট যদি মনে করে আপত্তিজনক কিছু আছে বা কেউ আপত্তি করলে তারা এটাকে ফরেনসিক করে দেবে। এটা করলে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।

‘কেউ একটা ম্যানিপুলেটেড এভিডেন্স দিল, এটা কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নাই। কারণ ফরেনসিক করলেই ধরা পড়ে যাবে। বিশেষ করে ডকুমেন্টের ফরেনসিক কিন্তু দুই-চার মিনিটেই করা যায়।’

ভিডিও প্রমাণের বিষয়ে সচিব বলেন, ‘একটু সময় লাগে ভিডিওর ক্ষেত্রে, তাও খুব বেশি সময় লাগে না। আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি আছে দেশে। বিসিসির কাছেও খুব হাই টেকনোলজি আছে। এগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরকার সুবিধামতো ছড়িয়ে দিয়ে যে ডিজিটাল সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে, সেগুলো যদি কোর্ট বা কোনো পক্ষ মনে করে আপত্তি আছে, তাহলে ফরেনসিক করে নেবে।

‘সুতরাং টুইস্ট করার কোনো উপায় নেই। কেউ যদি টুইস্ট করে তাহলে আমাদের প্যানাল কোডের (দণ্ডবিধি) ২১১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যের বিষয় আছে, আর ডিজিটাল অ্যাক্টেরও ৫৭ ধারা আছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটা খুব ট্রিকি জিনিস। এ জন্য ক্যাবিনেট বলেছে, আবারও আমাদের কাছে নিয়ে আসুক, আমরা দেখে দেব।

‘আরেকটি বিষয় হলো ভিকটিমকে ক্রস (জেরা) করার ক্ষেত্রে আরেকটু শালীনতা বজায় রাখতে হবে। কোন জাতীয় প্রশ্ন প্রয়োজন, সেটা কোর্ট ঠিক করে দেবে।’

এ বিভাগের আরো খবর