স্বাধীনতা দিবস বা ২৬ মার্চ থেকে দেশে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করবে টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম সহজ ডটকম।
সিএনএস বিডির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর নতুন করে অনলাইনে টিকিট বিক্রির কাজ পায় সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি। ২৬ মার্চ থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনায় ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
অবশ্য কোন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজ ট্রেনের টিকিট বিক্রি করবে সেটি এখনও নিশ্চিত করেনি রেলওয়ে।
রেল ভবনে সোমবার প্রতিষ্ঠানটির কাছে রেলওয়ে টিকেটিং সিস্টেম হস্তান্তর করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত বর্তমান প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেড রেলওয়ের আন্তনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং পরিচালনা করবে। এরপর পাঁচ দিন অর্থাৎ ২১ থেকে ২৫ মার্চ অনলাইনে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।
সিস্টেমে কিছু কারিগরি ও প্রযুক্তিগত কাজ করার জন্য পাঁচ দিন অনলাইনে কোনো টিকিট বিক্রি করবে না রেলওয়ে। এ সময় শতভাগ টিকিট স্টেশনে বিক্রি করা হবে বলে জানান রেলমন্ত্রী সুজন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘২৬ মার্চ সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং সিস্টেম পুনরায় চালু করা হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। এ সময় সব টিকিট উন্মুক্ত থাকবে, কোনো কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।’
রেলের বিদ্যমান অনলাইনে টিকিট না পাওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রেলমন্ত্রী সুজন বলেন, ‘রেলের টিকেটিং ব্যবস্থা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য ব্যবস্থাটিকে আরও আধুনিক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পুরোনো প্রতিষ্ঠান থেকে টিকেটিং কার্যক্রম নতুন প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। আশা করি এখন থেকে টিকিট কালোবাজারি, টিকিট না পাওয়া এবং যাত্রী হয়রানির অভিযোগ আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘টিকেটিং ব্যবস্থার ওপর রেলের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। ধীরে ধীরে রেলের টিকিট বিক্রি শতভাগ অনলাইন করা হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে ১১৪টি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। এতে দিনে প্রায় ৯০ হাজার, মাসে ২৭ লাখের বেশি টিকিট কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে বিক্রি হয়। এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ বা প্রায় ১৩ লাখ বিক্রি হয় অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে।
দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠান সিএনএস থেকে বেরিয়ে নতুন প্রতিষ্ঠান সহজের সঙ্গে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টিকেটিং বিষয়ে চুক্তি করে রেলওয়ে। পাঁচ বছরের চুক্তির মধ্যে ১৮ মাস তারা বর্তমান টিকেটিং সার্ভারসহ অন্য অবকাঠামো ব্যবহার করবে। এ সময়ের মধ্যে তারা নতুন ও আধুনিক একটি টিকেটিং ব্যবস্থা তৈরি করবে।
বর্তমান সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএসকে প্রতিটি টিকিটের বিপরীতে সাড়ে ৩ টাকার মতো দিতে হয় রেলওয়েকে। নতুন করে চুক্তির পর সহজকে দিতে হবে টিকিটপ্রতি মাত্র ২৫ পয়সা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেল সচিব হুমায়ুন কবীর ও রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, সহজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদের।