আমদানি পর্যায়ে তিন মাসের জন্য ভ্যাট স্থগিতের পর এবার ভোজ্যতেলে খুচরা পর্যায়েও ভ্যাট তুলে নিয়েছে সরকার।
সচিবালয়ে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান মন্ত্রিসভাসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ভ্যাট মওকুফসংক্রান্ত আদেশে সই করার কথা জানান।
বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
গতকাল রোববার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে অনুষ্ঠিত এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে ভ্যাট কমানোর কথা বলেছিলেন সভার সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সভার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘গতকালের বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী এগ্রি করেছেন এবং খুব স্ট্রংলি একটা ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছেন।
‘ভোজ্যতেলের রিটেইলার পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী এসআরওতে সই করেছেন বলে জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘মিটিংয়ে একটা অবজারভেশন দেয়া হলো এবং এনবিআরকে ডিরেক্টিভ দেয়া হয়েছে যে ইমপোর্ট পর্যায়ে যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে সেটা কতটুকু, কীভাবে কমানো যায় দেখতে হবে এবং যথাসম্ভব একটু কম পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত।
‘আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। এনবিআরকে বিবেচনা করার জন্য শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমদানি পর্যায়ে কমালে আমাদের ধারণা যে এটার একটা ডিরেক্ট পজিটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে।’
কোন ধরনের পণ্যে ভ্যাট কমাতে বলা হয়েছে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘শুধু ভোজ্যতেল নয়, চিনি বা যেগুলো বেশি প্রয়োজনীয় সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট কমাতে বলা হয়েছে। যেটা খুবই ক্রাইসিসে থাকবে সেটার ক্ষেত্রে একদম কম পর্যায়ে নিয়ে আসা। সম্ভাব্য লোয়েস্ট একটা সিলিংয়ে যাওয়া।
‘ভ্যাট যথাসম্ভব সহনীয়, একেবারে লোয়েস্ট লেভেলে নেয়া যায় কি না সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এনবিআরকে যথাশিগগিরই বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। একেবারে তুলে দিলে আবার সমস্যা আছে। পুরোপুরি তুলে নিলে এনবিআর বুঝতে পারবে না কী পরিমাণ মালামাল ঢুকল।’