বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাদিসুরের মরদেহ দেশে

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ১২:২৬

রোমানিয়ার বুখারেস্ট থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে সোমবার দুপুরে ঢাকায় অবতরণ করে হাদিসুরের মরদেহ বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত ‌‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে এসেছে।

রোমানিয়ার বুখারেস্ট থেকে ইস্তাম্বুল হয়ে সোমবার দুপুরে ঢাকায় অবতরণ করে হাদিসুরের মরদেহ বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-০৭২২ ফ্লাইটটি শাহজালালে এসে পৌঁছায়।

হাদিসুরের চাচা হারুনুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্লেন থেকে লাশ নামানো হয়ে গেছে।’

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাছানুর রহমান রিমন মরদেহ সংগ্রহ করতে এসেছেন। হাদিসুরের বাবা ও মামা অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি চলে গেছেন।

হাদিসুরের ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স, চাচাতো ভাই সোহাগ এবং খালা মমতাজ বেগম পরিবারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে এসেছেন।

গত ২ মার্চ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ ‌বাংলার সমৃদ্ধিতে হামলায় নিহত হন হাদিসুর রহমান। পরে বন্দরটির আশেপাশের এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সহায়তা ৩ মার্চ জাহাজে থাকা ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে ইউক্রেনের বাঙ্কারে সরিয়ে নেয়া হয়।

গত ৯ মার্চ বাংলার সমৃদ্ধির ২৮ নাবিককে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

হাদিসুরের মরদেহ রোববার টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আসার কথা ছিল, তবে ইউরোপে তুষারপাত হওয়ায় শিডিউল বাতিলের কথা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে জানানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হাদিসুরের গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগীতে দ্রুত পৌঁছাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থাকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি সংস্থা বিএসসি। তাদের মালিকানাধীন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ২৯ নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সেখানেই ছিল জাহাজটি। ওই দিন ভোরেই ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলার সপ্তম দিনে বাংলাদেশি জাহাজে গোলার আঘাত পড়ে, যাতে নিহত হন হাদিসুর।

মূলত সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির, তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য একে নির্দেশনা দিয়েছিল বিএসসি।

এ বিভাগের আরো খবর