কুমিল্লায় গুলি করে কাউন্সিলরসহ দুজন হত্যার প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় আবারও নগরীতে গুলি ও দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকজনকে দেখা গেছে। হয়েছে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।
এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে সহিদুর রহমান সজিব নামের এক যুবককে পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর সোমবার সকালে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজার গর্জনখোলা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের গলিতে রোববার দুপুর ২টার দিকে এই ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও নিউজবাংলার হাতে এসেছে।
এতে বেশ কিছু যুবককে রামদা, চাপাতি, রড নিয়ে ধাওয়া দিতে দেখা যায়। তাদের মধ্যে একজনের হাতে পিস্তল ছিল।
স্থানীয়রা জানান, পিস্তল হাতে ওই যুবকের নাম আবদুর রাজ্জাক। তার বাড়ি চকবাজার গর্জনখালা পশ্চিমপাড়া এলাকায়। তার নেতৃত্বেই বিদ্যুৎ অফিস গলি এলাকার রবিন আহমদ ও জালাল উদ্দিনের লোকজনের ওপর হামলা হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে।
রবিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজ্জাক একজন মাদক কারবারি। তার কাজকে সমর্থন না করায় ও বিরোধিতা করায় তিনি এই হামলা চালিয়েছেন। কিছুদিন আগেও তিনি একই কারণে আমার ওপর হামলা চালান।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজ্জাক বলেন, ‘আমি মাদক কারবারি নই।’
এরপরই তিনি কল কেটে দেন। এরপর একাধিকবার কল দিলেও ধরেননি।
পুলিশ কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পাঁচজন আহত হয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে রোববার রাতে একজনকে আটক করেছি। রাতেই তার নামে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার গ্রেপ্তার সজীবকে আদালতে পাঠানো হবে।’
গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে গুলিবিদ্ধ হন কাউন্সিলর সোহেলসহ অন্তত পাঁচজন। তাদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সন্ধ্যায় মারা যান কাউন্সিলর ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহা।