কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি করেন কয়েকজন।
গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুরাদনগর বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মতিন মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় কাজিয়াতল এলাকার মো. আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম ও মো. শফিকুল ইসলামকে।
নিউজবাংলাকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম।
তিনি জানান, গত ১২ এপ্রিল মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এজাহারে বলা হয়, মুরাদনগরে প্রকাশ্যে শিয়াল জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে মাংস। মাংসের ক্রেতা পেতে ফেসবুকে মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছেন এক যুবক।
গত ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল হাছান মার্কেটে শিয়াল জবাই করে ৫০০ টাকা কেজি দরে সেই মাংস বিক্রি করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক।
ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে শফিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডিতে শিয়ালের মাংস কাটার ছবিসহ মোবাইল নম্বরও দিয়েছেন। ওই নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘শিয়ালের মাংস ডিপ ফ্রিজে রাখা আছে। কাজিয়াতল হাছান মার্কেটে এসে ফোন দিলে আপনাকে রিসিভ করা হবে।’
বন কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, ‘এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফাঁদ পেতে কিংবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা শেয়াল ধরে জবাই করেন, যা আইনবিরোধী কাজ।
‘নানা রোগের ওষুধ হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে ওই মাংস তারা বিক্রি করেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, ‘বন্যপ্রাণী জবাই করে মাংস বিক্রি করা আইনত অপরাধ। ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ছবি আমরা পেয়েছি। মামলা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’