বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অবৈধ ট্রাক্টরের চাপায় লক্ষ্মীপুরের উন্নয়ন

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২২ ০৮:৪৭

চরলরেন্সের হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও মামলা দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। দ্রুত এসব ট্রাক্টর রাস্তায় চলাচল বন্ধ করা এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।’

অবৈধ ট্রাক্টরের চাপায় ধসে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রাস্তাঘাট ও ব্রিজ-কালভার্ট। এসব ট্রাক্টরচালকের নেই কোনো লাইসেন্স। এতে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। জেলায় গত ছয় মাসে ট্রাক্টরচাপায় শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন, আহত হন শতাধিক।

সড়কে অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করা এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। চলছে মানববন্ধন, বিক্ষোভ-সমাবেশ।লক্ষ্মীপুর বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন মন্টু জানান, জেলার সড়ক-মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচল করছে প্রায় ৪ হাজার অবৈধ ট্রাক্টর। এসব যান ও চালকের ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বেশির ভাগ চালক কিশোর। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বিআরটিএ জানায়, ট্রাক্টরচাপায় পিষ্ট হয়ে গত ৬ মাসে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হন শতাধিক ব্যক্তি। নিহতদের মধ্যে সাতজন স্কুলশিক্ষার্থীও রয়েছে।

সুতারগোপ্তা এলাকার ফাইভ স্টার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নোমান সিদ্দিকী জানান, সুতারগোপ্তা-চরমনসা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শ ট্রাক্টর চলাচল করছে। এসব ট্রাক্টর কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাক্টর চলাচল এবং সড়কের বালুর কারণে স্কুলশিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। সড়কে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। পুরো সড়কটি ভেঙে চুরমার করেছে এসব অবৈধ ট্রাক্টর।

তোরাবগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, অবৈধ ট্রাক্টরের কারণে রাস্তা নষ্ট হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়ছে ব্রিজ-কালভার্ট। নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়নকাজ। অবৈধ ট্রাক্টরের রাস্তায় চলাচল বন্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করেও ফল মিলছে না।

চরলরেন্সের হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন লোকদেখানো অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও মামলা দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব পালন করে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। দ্রুত এসব ট্রাক্টর রাস্তায় চলাচল বন্ধ করা এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।’

কুশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মানিক বলেন, ‘অবৈধ ট্রাক্টরচাপায় পিষ্ট হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নকাজ। নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট ও কালভার্ট। শুধু কুশাখালী ইউনিয়নে কয়েক শ ট্রাক্টর চলাচল করছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।’

বিআরটিএ কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন মন্টু জানান, ট্রাক্টর কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য আনা হয়। পরে সেগুলো সড়কে মাটি কাটাসহ ইটভাটার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এগুলো দ্রুত বন্ধ না হলে রাস্তাঘাটের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।

লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ট্রাক্টর রাস্তায় চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটি ব্যবহার করার কথা কৃষি কাজে। তারপরও আইন না মেনে রাস্তায় চলাচল করছে এই যান। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্রাক্টরকে জরিমানা করা হয়েছে।’

সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে বলে জানান ডিসি।

এ বিভাগের আরো খবর