রাজধানীর কদমতলীতে একটি ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে সাদিয়া আক্তার ইতি নামে নারীর মরদেহ। পুলিশ আটক করেছে মেহেদী হাসান নামের যুবককে।
পুলিশের দাবি, দুই সন্তানের জননী ইতিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। একই বাসায় থাকা মেহেদীর পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।
কদমতলী থানার মুরাদপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইতির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় আটক করা হয় মেহেদী হাসানকে। তিনি দাবি করেছেন, ইতি গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব দে বলেন, ‘ইতি দুই সন্তানের মা। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ নয়ন। কয়েক মাস আগে তাদের বিয়েবিচ্ছেদ হয়। এরপর ইতি বাসাটিতে মেহেদী নামের যুবকের সাথে থাকছিলেন।’
ইতির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ধানমন্ডি ৭/এ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ মহাসিন রেজা নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের দাবি।
ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনসুর আহমেদ জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসিন রেজার মরদেহ উদ্ধার হয়। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। ঢাকায় তার একটি টেইলার্স আছে। পারিবারিক সমস্যায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্বজনরা জানান।
এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পুলিশ তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।