ঝালকাঠি সদরে প্রতিবেশীদের পিটুনিতে যে নারীর জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তিনি মারা গেছেন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ দিন ভর্তি থাকার পর রোববার দুপুরে মারা যান ৫০ বছরের মিনারা বেগম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের জন্য ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব না।’
মিনারার দেহের ময়নাতদন্তে করা হবে বলেও জানান তিনি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামে মিনারার বাড়ি।
তার ছোট ছেলে মোহাম্মদ সাগর হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার মা বাড়ির পাশে একটি নারকেলগাছের শুকনো গ্যাঁড়া আনতে গিয়েছিলেন। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিবেশী একই পরিবারের সোনিয়া, ফিরোজ, মিলন ফরাজী, রিয়াজ, শান্তসহ আরও কয়েকজন জিআই পাইপ নিয়ে হামলা করে।
‘হামলার একপর্যায়ে তারা আমার মাকে পা দিয়ে পদদলিত করে। এতে আমার মায়ের জরায়ু ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়।’
সাগর জানান, ঝালকাঠি হাসপাতালে নেয়ার সময় মায়ের চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ তাদের কাছে ছিল না। পরে ছবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়াসহ নগদ অর্থ দিয়ে বরিশালে চিকিৎসার জন্য পাঠান।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মুনিয়া আক্তার শুক্রবার বলেন, ‘হামলার শিকার ওই নারীর জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
ঘটনার পরপরই রাতে মিনারার বড় ছেলে মাসুম হাওলাদার ঝালকাঠি সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এসআই মো. জসিম বলেন, ‘মামলায় শুক্রবার রাতেই এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। তারা হলেন মোহাম্মদ মিলন, তার ছেলে মোহাম্মদ শান্ত এবং মোহাম্মদ ফিরোজ।’
তিনি আরও জানান, আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।