বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বাস্থ্যে প্রশাসনের কর্মকর্তা চান না চিকিৎসকরা

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৯:১৭

মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের অবদান বড় হলেও তাদের পদোন্নতির জন্য মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় বলে মন্তব্য করেন বিএমএ সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী।

দেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ মেনে নিতে চাইছেন না স্বাস্থ্য বিভাগের বর্তমান ও সাবেক চিকিৎসক কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক নেতারা।

সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের কোনো পদে প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাকে দেখতে চান না মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে বিশেষ অবদান রাখা এই চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা দয়া চাই না, দাক্ষিণ্য চাই না। চিকিৎসকদের অধিকার দিতে হবে। যেখানে সংবিধানে বলা আছে ক্যাডার বৈষম্য থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন করতে বলেছেন। কিন্তু যারা করবে তারা তেলে তৈলাক্ত হয়ে বসে আছেন।’

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ২১তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের অবদান বড় হলেও তাদের পদোন্নতির জন্য মন্ত্রণালয়ের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় বলে মন্তব্যও করেন এহতেশামুল হক চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, ‘আমার জুনিয়র চিকিৎসক কনসালটেন্ট দেড় বছরেও পদায়ন পান না। কেন তাদেরকে পদায়নের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে? এরকম বৈষম্য থাকবে কেন?’

তিনি বলেন, ‘ছুটির জন্য আবেদন করা হলে চিঠি দেয়া হয় আপনি ছুটি চান কেন? এমনকি শোকজও করা হয়। এটা করবেন কোন শক্তিতে? আপনারা ছুটি দিবেন না, ভালো কথা। কিন্তু শোকজ করা হবে কেন? যিনি চিকিৎসককে শোকজ করেছেন সেই কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গবেষণা করতে হবে। অর্থও দিয়েছেন। আমাদের রোগীদের আত্মীয় ভেবে পরম মমতায় চিকিৎসা দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে এর বিকল্প নেই।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই দাবি করে এহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘একদিকে বন্দুকসহ নিরাপত্তা দিয়েছে, আর এদিকে চিকিৎসকদের কলার চেপে ধরে রোগীর স্বজনরা।’

‘মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আপনি আমলাদের প্রতিনিধি নন, আপনি চিকিৎসকদের প্রতিনিধি। আপনি আবারও মন্ত্রী হবেন, আমাদের দিকে তাকান।’

তবে ক্যাডার সিস্টেম থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।

তিনি বলেন, আমার কথায় অনেকে হয়তো একমত হবেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটাই সত্য যে, বৈষম্য দূর করতে এই ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে পারব।

স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনসহ নানা ধরনের উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে। একের পর এক বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে। সর্বশেষ ৫০০ শয্যার বার্ন হাসপাতাল হয়েছে, যা পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক সমালোচনার পরও শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। সমালোচকরাও এখন প্রশংসা করছে। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। তাদের সমালোচনার কারণেই আমরা সতর্ক থেকেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’

এম এ আজিজ বলেন, ‘চিকিৎসকদের মধ্যে থাকা বৈষম্য নিরসন করতে হবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে জান বাজি রেখে কাজ করেছি। মন্ত্রণালয়ের অনেক নেতিবাচক ভূমিকা দেখা যাচ্ছে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসক সংকট জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নতুন কোনো নির্দেশনা দেবেন। চিকিৎসকদের প্রমোশনের বিষয়টি দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এমন সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে ১৮ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সরকারিভাবে চিকিৎসক ছিল ১৮ হাজারের মত। গত তিন মেয়াদে আরও ১৮ হাজার নিয়োগ হয়েছে। একই সময়ে নার্স নিয়োগ হয়েছে ২০ হাজারের বেশি। ফলে বর্তমানে দেশে ৪৭ হাজার নার্স রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর