বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুফতি হান্নানের ভাই ইকবাল রিমান্ডে

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৭:৪৬

আসামি ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়ার আবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা সে বেশ কয়েক বছর আফগানিস্তানে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পলাতক ছিলেন। তদন্তে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিদের গ্রেপ্তার ও তাদের নাম, ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিকভাবে তথ্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা ও আনসার আল ইসলামের কেন্দ্রীয় সংগঠক মুন্সি ইকবাল আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৫ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

আদালতের সাভার থানার নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এএসআই ওসমান মুন্সি রোববার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে সাভার মডেল থানায় র‌্যাবের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ জামান ইকবালকে আদালতে উপস্থিত করে সাত দিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক রাজিব হাসান মামলার তদন্তের স্বার্থে ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন।

এ সময় তার পক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

আসামি ইকবালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়ার আবেদনে বলা হয়, নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা সে বেশ কয়েক বছর আফগানিস্তানে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পলাতক ছিলেন। তদন্তে অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামিদের গ্রেপ্তার, তাদের নাম, ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত ও সঠিকভাবে তথ্য উদঘাটনের জন্য নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

মামলার বিবরণে বলা যায়, ১১ মার্চ ঢাকার সাভার থানার রাজাসন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৪।

সংস্থাটির অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইকবাল নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অন্যতম সংগঠক ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ভাই। জঙ্গি সংগঠনটির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশে এবং আফগানিস্তানে পলাতক থেকে প্রশিক্ষণসহ নতুন-নতুন কৌশল রপ্ত করেছেন ইকবাল।

ইকবালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতাসংশ্লিষ্ট চারটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, উগ্রবাদী বই ও লিফলেট জব্দ করা হয়।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা ছিলেন মুন্সি ইকবাল। ২০০৪ সালে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার পর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। এ কারণে তিনি আনসার আল ইসলামে যোগ দেন।

‘মুন্সি ইকবাল সংগঠনের ৫-৬ জন সদস্যকে নিয়ে ১১ মার্চ রাতে বৈঠক করেন। সংগঠক হিসেবে অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। তার মোবাইল থেকে বিভিন্ন উগ্রবাদী কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

ইকবালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, গোপালগঞ্জের একটি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন তিনি। পরে ঢাকার সাভার এলাকায় বসবাস শুরু করেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি হয়েছে। তার আরও দুই ভাই মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি।

এ বিভাগের আরো খবর