অতীতে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। একইসঙ্গে আগামী নির্বাচন যাতে অধিকতর অংশগ্রহণমূলক হয় সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে আজ রোববার সংলাপে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংলাপের শুরুতে শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সূচনা বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ৩০ শিক্ষাবিদকে ইসি আমন্ত্রণ জানালেও ১৭ জন শিক্ষাবিদ তাতে সাড়া দেননি। বাকি ১৩ জনকে নিয়ে রোববার বিকেলে ইসির সংলাপ শুরু হয়।
সিইসি বলন, ‘আমরা চাই নির্বাচন যেন আরও অধিক অংশগ্রহণমূলক হয়। জনগণের প্রকৃত মতামত রিফলেক্টস থ্রো ব্যালটস হয়।
‘কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদের কি করণীয় হতে পারে আপনাদের কাছে সেই পরামর্শ চাই। আমার বিশ্বাস, আপনাদের মতামত থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারব।’
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ধারাবাহিক এমন বৈঠক থেকেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরির পরিকল্পনা করা হবে। এরপর বিশিষ্ট নাগরিক, গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নেয় কমিশন। নতুন কমিশনে প্রথম অফিস করে ২৮ ফেব্রুয়ারি।