বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইসির সংলাপে ১৭ শিক্ষাবিদের ‘না’

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৬:০৬

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি ৩০ শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩ শিক্ষাবিদ। বাকি ১৭ জন তাতে সাড়া দেয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে সংলাপে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদই ‘না’ করে দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে নবগঠিত কমিশন সংলাপের প্রথম প্রক্রিয়াতেই অনেকটা হোঁচট খেল বলা যায়।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন ইসি ৩০ শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়ে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩ শিক্ষাবিদ। বাকি ১৭ জন ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।

আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা যায় তার কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিতেই মূলত এ সংলাপের আয়োজন করে ইসি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের কনফারেন্স রুমে আজ রোববার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে এই সংলাপ শুরু হয়েছে।

আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদদের মধ্যে ১৩ জন সংলাপে অংশ নিলেও তাৎক্ষণিকভাবে ১১ জনের নাম নিশ্চিত করা গেছে। তারা হলেন- সাদেকা হালিম, মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার, আবদুল মান্নান চৌধুরী, মফিজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. আখতার হোসেন, আল মাসুদ হাসানুজ্জামান, জাফর ইকবাল, বোরহান উদ্দিন খান ও লায়লাফুর ইয়াসমিন।

আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদরা হলেন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খান, অধ্যাপক এম জাফর ইকবাল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম আনোয়ার হোসাইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক লায়লুফার ইয়াসমীন, অধ্যাপক এম আবুল কাশেম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম মফিজুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, ইউল্যাবের জেনারেল এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হাসান ও তাসনিম আরিফা সিদ্দিকী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও অধ্যাপক আল মাসুদ হাসানুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার।

দায়িত্ব নেয়ার পর নবগঠিত কমিশন রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসে। তবে ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন দুবার সংলাপে বসেছিল।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনকারী কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ও সংলাপ হয়েছিল। বিগত নুরুল হুদা কমিশনও সংলাপ করেছিল নির্বাচনি অংশীজনদের নিয়ে। তবে নবনিযুক্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নেয়ার প্রথম মাসেই সংলাপে বসেনি কোনো কমিশন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচন ভবনে অফিস শুরু করেছে হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

এ বিভাগের আরো খবর