বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্তর্জাতিক বীজভান্ডার চান প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৬:০৪

ঢাকায় এফএও-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩৬তম আঞ্চলিক সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক কিউ ডংইউ। খাদ্যশস্য, শাকসবজি, প্রাণিজ প্রোটিনে খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে এফএও-এর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের খাদ্যশস্য সংকট মোকাবিলায় নেদারল্যান্ডসের আদলে একটি আন্তর্জাতিক শস্যবীজ ভান্ডার স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল ও উদ্ভাবনের প্রকল্প গ্রহণেও একটি সমন্বিত তহবিল গঠনের প্রস্তাব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সেখানে বাংলাদেশ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

গণভবনে রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মহাপরিচালক কিউ ডংইউ সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাব দেন।

এ সময় এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো তোরো, ব্যাংককের আঞ্চলিক অফিসের সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম এবং ঢাকায় এফএও প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।

সাক্ষাতে দেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশে রূপান্তর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামভুক্ত (সিভিএফ) দেশগুলো, বিশেষ করে যেখানে চাষের জন্য কম কিংবা চাষ উপযোগী কোনো জমি পাওয়া যায় না, সেসব দেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তাই এফএও মহাপরিচালককে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পদ্ধতিতে তাদের সমস্যা সমাধানেরও সুপারিশ করেছেন সরকারপ্রধান।

১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরপর নভেম্বরে বিশ্ব খাদ্য সম্মেলনে অংশগ্রহণের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, ওই সময় চরম খাদ্য ঘাটতি ছিল দেশে।

তার দুই বছর পর সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করে বলেও জানান সরকারপ্রধান।

জনসংখ্যার চাপ এবং চাষযোগ্য জমির সংকট থাকার পরেও খাদ্যনিরাপত্তা অর্জন করা নিজের অগ্রাধিকার ছিল বলেও অবহিত করেন শেখ হাসিনা।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া বিভিন্ন প্রজাতির বিকাশে কাজ করায় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনের পর, তার সরকার এখন পুষ্টি নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।

চলমান কোভিড মহামারির মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় খাদ্য সংরক্ষণ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ওপর জোর দেয়ার কথাও জানান শেখ হাসিনা।

ঢাকায় এফএও-এর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৩৬তম আঞ্চলিক সম্মেলনের সফল আয়োজনের জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক কিউ ডংইউ।

খাদ্যশস্য, শাকসবজি, প্রাণিজ প্রোটিনে খাদ্যনিরাপত্তা অর্জনে শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে এফএও-এর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

আরও শক্তিশালী, উদ্ভাবনী এবং ডিজিটাল পদ্ধতির সঙ্গে বিদ্যমান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন বলেও আশ্বস্ত করেন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক।

শেখ হাসিনার উন্নয়ন কৌশলের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকার কথাও স্বীকার করেন কিউ ডংইউ। ২০২২ সালের অক্টোবরে ইতালির রোমে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্লেনারি স্পিকার হিসেবে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক।

সাক্ষাতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মো. জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস, কৃষিসচিব সাইদুল ইসলাম এবং রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর