বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাছ বিক্রির টাকা লুট করতে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ঘের মালিককে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের একটি চিংড়ি ঘেরের পাশের ধান ক্ষেত থেকে রোববার সকালে ওই ঘের মালিকের মরদেহ উদ্ধার করে চিতলমারী থানা পুলিশ।
নিহত ৭০ বছরের শৈলেন্দ্রনাথ মণ্ডল ওই এলাকারই বাসিন্দা।
এ ঘটনায় শনিবার মধ্যরাতে টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চিতলমারী উপজেলার বাখেরগঞ্জ থেকে ঘেরের শ্রমিক ২৫ বছরের অপূর্ব মণ্ডলকে ও পরদিন সকালে কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড থেকে ৩২ বছরের সুব্রত হালদারকে আটক করে পুলিশ।
তারা দুজনই লক্ষ্মীখালি গ্রামের বাসিন্দা। গত ৯ মার্চ থেকে তারা শৈলেন্দ্রনাথের ঘেরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান খান।
নিহতের স্ত্রীর বরাতে ওসি জানান, শনিবার বিকেলে মাছ বেচার টাকা বাড়িতে রেখে রাতে ওই দুই শ্রমিককে নিয়ে ঘেরে যান শৈলেন্দ্রনাথ। এ সময় আটককৃতরা তাকে জবাই করে হত্যার পর শৈলেন্দ্রনাথের বাড়ি এসে তার স্ত্রীর কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তার স্ত্রীর সন্দেহ হলে তিনি চিৎকার করেন। এ সময় স্থানীয়রা এসে শৈলেন্দ্রনাথকে খুঁজতে বের হন। পরে ঘেরের পাশের একটি ধান ক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা।
পুলিশ গিয়ে একজনকে ভোররাতে আটক ও সকালে শৈলেন্দ্রনাথের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে আরও একজনকে আটক করা হয়।
ওসি বলেন, ‘নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বাগেরহাট পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক জানান, আটক ২ জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকা লুটের জন্য ওই বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।