পাবনায় রেস্টুরেন্ট মালিক বেতন না দিয়ে মারধর করেছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন এক কর্মচারী।
শহরের রাজমহল রেস্টুরেন্টের প্রধান বাবুর্চি মানিক শনিবার রাতে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
মানিক জানান, গত বছর রেস্টুরেন্ট চালুর পর খুলনা থেকে কয়েকজনকে কাজে নিয়োগ দেয়া হয়। মানিক ৩৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনের চুক্তিতে যোগ দেন। প্রথম মাসে তাকে ২২ হাজার টাকা বেতন দেয়া হয়। এরপর কোনো মাসেই ২০ হাজারের বেশি দেয়া হয়নি।
মানিক বলেন, ‘টাকা চাইলেই মালিক নাইম হোসেন হুমকিধামকি দিতেন। গত মাসে তিনি কোনো টাকাই দেননি। আমার বাড়িতে স্ত্রী, দুধের বাচ্চা আছে। আমি ছাড়া উপার্জনের কেউ নেই। গত দুই দিন আমি বাচ্চার দুধও কিনতে পারিনি।
‘শেষমেশ অন্তত ২ হাজার টাকা চেয়ে আমি গত রাতে মালিকের সঙ্গে দেখা করি। তিনি টাকা না দিয়ে আমাকে গালাগাল করেন ও মেরে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে মারতে শুরু করলে আমি চলে আসি।’
শিহাব নামের আরেক কর্মচারী বলেন, ‘আমি ফুড কোর্ট অপারেটর পদে এক মাস ২০ দিন কাজ করেছি। আমার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা রিসিপশনিস্ট পদে কাজ করতেন। ঠিকমতো বেতন না দেয়ায় কাজ ছেড়ে দিয়েছি।
‘বকেয়া বেতন চাইলেই মালিক দুর্ব্যবহার করেন, ভয়ভীতি দেখান। দিনের পর দিন বেতন না পেয়ে অন্তত ছয়জন কাজ ছেড়ে চলে গেছে।’
ওয়েটার মামুন জানান, ঠিকমতো বেতন না দেয়ায় ও মারধর করায় তিনি কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে গেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে রাজমহল রেস্টুরেন্টের মালিক নাইম হোসেন বলেন, ‘ব্যবসায়িক লোকসানের মধ্যেও আমি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ঠিকমতো পরিশোধ করে আসছি। দুই-একজন কর্মচারী আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য প্রতিপক্ষের ইন্ধনে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
মালিকের বিরুদ্ধে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।