বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাংবাদিককে মেয়রের ‘হুমকি’, তদন্তের আবেদন পুলিশের

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ২০:২৫

পুলিশ জানায়, সাংবাদিক রিফাত শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে থানায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে জিডি করেন। এই অভিযোগ তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। তাই আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে সাংবাদিক রিফাত আহমেদ রাসেলকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তদন্তের অনুমতি চেয়েছে পুলিশ।

দুর্গাপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে শনিবার এই আবেদন করে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।

দুর্গাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী ও থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, দুর্গাপুরের তেরিবাজারের বাসিন্দা সাংবাদিক রিফাত শুক্রবার দুপুরে দুর্গাপুর পৌর মেয়র আলাউদ্দিন আলালের বিরুদ্ধে থানায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে জিডি করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা নেলী বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি একটি নন-কগনিজেবল অফেন্স, সেহেতু এটি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি লাগবে। তাই আমরা আদালতে আবেদন করেছি।’

ওসি মাহবুবুর বলেন, ‘ধারণা করছি, রোববার এ ব্যাপারে আদালতের অনুমতি মিলবে।’

রিফাতকে হুমকির প্রতিবাদে জেলার সাংবাদিকরা শনিবার শহরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।

রিফাত জানান, দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর বালুমহাল নিয়ে দেয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মেয়র তাকে হুমকি দেন।

দুর্গাপুর পৌরসভার তেরিবাজার এলাকার বাসিন্দা রিফাত একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি জাতীয় দৈনিকের স্থানীয় প্রতিনিধি। পাশাপাশি ‘সেভ দ্য অ্যানিমেল অফ সুসং’ নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনও পরিচালনা করেন তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় বালুমহাল ইজারার নামে সোমেশ্বরী নদী ও পরিবেশ ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে রিফাত তার ফেসবুক টাইমলাইনে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে নির্দিষ্ট কারও নাম উল্লেখ না করলেও স্ট্যাটাসটি দেখে ক্ষুব্ধ হন বালু ব্যবসায় জড়িত মেয়র আলাল।

মেয়র সেদিন সন্ধ্যায় রিফাতকে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে অকথ্য গালাগালসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই সময় ধারণ করা ৯ মিনিটের একটি অডিও রেকর্ড নিউজবাংলার হাতে এসেছে। রেকর্ডটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মেয়র আলাল সাংবাদিক রিফাতকে অসংখ্যবার অকথ্য গালাগাল, হত্যার হুমকিসহ এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন।

জিডিতে আরও বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আলাল ও তার লোকেরা রিফাতের বাবা রফিকুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে উত্তেজনাকর কথাবার্তা বলেন। রিফাতকে সকাল ৯টার মধ্যে সামনে হাজির করতে বলেন তারা। রাত ৪টার দিকে রিফাতের বাসার সামনের দুটি দোকান এবং বাসার গেটেও হামলা করে কিছু দুষ্কৃতকারী। তখনও তারা রিফাত ও তার বাবাকে উদ্দেশ করে হুমকি-ধামকি দেয়।

জিডিতে জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেছেন রিফাত।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন আলাল বলেন, ‘রিফাত ও আমার বাসা কাছাকাছি। তার বাবার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তার বাবার উপস্থিতিতেই তাকে ডেকে এনে কিছুটা শাসন করেছি। তাকে শাসন করার সামাজিক অধিকার আমার আছে। তা ছাড়া তার বাবার সামনেই রিফাত ভুল স্বীকার করে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। স্থানীয় সাংবাদিকরাও বিষয়টি মীমাংসা করে দিয়েছেন।’

আলাল আরও বলেন, ‘রিফাতের বাসার গেটে আমার কোনো লোক হামলা করেনি। শুনেছি রাতে কিছু মদখোর লোক সেখানে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে। এরা কেউ আমার লোক বা কর্মচারী নন।’

আলাল দাবি করেন, রিফাত এর আগেও তাকে নিয়ে একাধিকবার লেখালেখি করেছেন।

রিফাত বলেন, ‘আমি সোমেশ্বরী নদীর পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছি। এতে আলাল সাহেব বা কারও নাম উল্লেখ করিনি। তা ছাড়া বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। এতে পৌরসভার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আলাল সাহেবের মতো দুর্গাপুরের অনেক লোক বালু ব্যবসায় জড়িত। তিনি একা কেন ক্ষুব্ধ হলেন বুঝতে পারছি না।’

এ বিভাগের আরো খবর