বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে থাকবে নজরদারি: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ২০:১১

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কারিকুলাম তৈরি করার চেয়ে বাস্তবায়ন করা বেশি কঠিন। নিয়মিত সেটি মনিটর করতে হবে।’

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা সঠিক পদ্ধতিতে পাঠদান করছেন কি না তা নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নতুন কারিকুলামের ওপর ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা জানান তিনি।

উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কারিকুলাম তৈরি করার চেয়ে বাস্তবায়ন করা বেশি কঠিন। নিয়মিত সেটি মনিটর করতে হবে।

‘নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিচ্ছেন কি না তাও মনিটর করতে হবে। সেখানে কী ঘটছে তার নিয়মিত তথ্য আমাদের জানাতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত নজরদারি থাকতে হবে।’

এর আগে সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষামূলক (পাইলটিং) চালু হওয়া জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের নিয়ে এনসিটিবিতে একটি কর্মশালা হয়। সেখানে চারটি সেশনে নতুন কারিকুলামের বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়।

এর মধ্যে নতুন সিলেবাস আর পুরোনো সিলেবাসে পার্থক্য, আগের ও নতুন শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন, হাতে-কলমে শেখার কৌশল, শিক্ষার্থীদের গাইডনির্ভর না হওয়াসহ শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর আলোচনা করা হয়।

কর্মশালায় উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ছাড়া ২০৪১ সালের উন্নত দেশ বাস্তবায়ন সম্ভব না। আমাদের পাইলটিং শুরু হয়েছে। সেটাকে নিবিড়ভাবে আপনাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আপনারা কে কী করছেন, সেটা মনিটর করা হবে। যার যা দায়িত্ব তা পালন করছেন কি না তাও দেখা হবে।’

কর্মশালায় এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, এনসিটিবি সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এনসিটিবি ভবনে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা

এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপনবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণি সাময়িকী পিইসি, অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী জেএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নবম-দশম শ্রেণিতে যে বিভাজনটি থাকে বিভিন্ন গ্রুপে মানবিক, বিজ্ঞান বা ব্যবসায় সেটি আর থাকবে না। এই দুই ক্লাসে বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরির একটি ট্রেড তারা শিখবে এবং দক্ষতা অর্জন করবে।’

তিনি জানান, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির পর প্রতি বছর একটি করে পরীক্ষা হবে। এই দুই শ্রেণির ফলাফলের সমান্বয়ে চূড়ান্ত ফল দেয়া হবে। অর্থাৎ একাদশের পরে একটি পরীক্ষা হবে আর দ্বাদশের পর আরেকটি পরীক্ষা হবে। দুটির ফল মিলিয়ে এইচএসসির ফল হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাস নাইন ও টেনে আলাদা বই হবে। থাকছে না আলাদা আলাদা বিভাগ। যে ১০টি সাবজেক্ট আছে সবাই সেগুলো পড়বে।’

দীপু মনি বলেন, ‘আমরা পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি। তবে সেগুলোয় ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মূল্যায়ন হবে। আমরা বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের ভিত্তিতে যেখানে যেখানে সনদ দেয়া প্রয়োজন দেব।

‘প্রত্যেক ক্লাসেই সমাপনী থাকবে। শুধু ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ ছাড়া সব ক্লাসেই সমাপনী পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে কিছুটা ধারাবাহিক মূল্যায়ন, কিছুটা সামষ্টিক মূল্যায়ন।’

তিনি বলেন, ‘ছয় মাস পাইলটিংয়ের পর বিশ্লেষণ করে ২০২৩ সাল থেকে আশা করছি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে পারব। সে ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এটি চালু হবে আর মাধ্যমিকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হবে। আর পাইলটিং যেটি আগামী বছর করব, সেটি হবে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি ও মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালে চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণি আর অষ্টম-নবম শ্রেণি হবে। ২০২৫ সালে এদিকে পঞ্চম ও ওদিকে দশম শ্রেণি অর্থাৎ ইম্প্রিমেন্টেশনটা হয়ে যাবে। এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব করা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর