দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জানিয়ে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য চেয়েছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেলে তাদের ব্যবসার খরচ কিছুটা পোষাবে।
শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে আয়োজিত বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এমন দাবি জানানো হয়। সভায় সারা দেশের বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির খড়গ থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য সরকারের কাছে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তাহলে অনেকে টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার সময়ে আমাদের যে লোকসান হয়েছে, সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। তবে এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি আমাদের থমকে দিয়েছে। এখন পণ্যের দামের কারণে খাবার বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা আর টিকতে পারছি না।’
ইমরান হাসান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতির পরও কোনো হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বাড়ানো হয়নি। যদিও মজুরি ও খরচ অনেক গুণ বেড়েছে। কম টাকায় মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। এরই মধ্যে গ্যাস-পানির দামও বাড়ানো হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি। এ পরিস্থিতিতে সর্বস্বান্ত হওয়া ছাড়া গতি নেই। লোকসানে সবাই রেস্তেরাঁ বন্ধ করে দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে গত বছর আমাদের যে ভ্যাট কমানো হয়েছিল, ওই সুবিধায় শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। আমরা ভ্যাটের রেয়াত নিতে পারছি না। এই সমস্যার সমাধান হয়নি। আবার সারা দেশে ভ্যাট চালু হয়নি। কেউ দিচ্ছেন, কেউ দিচ্ছেন না।’
ইমরান হাসান বলেন, ‘এ জন্য অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষরা যেসব হোটেলে খান, সেখানে ভ্যাট ৩ শতাংশ করার দাবি রয়েছে আমাদের। এনবিআরে আগামী বাজেটে এ প্রস্তাব করেছি আমরা। পাশাপাশি ট্যাক্স দশমিক ৫ শতাংশ করারও দাবি জানিয়েছি। তাহলে সবাই সেটা দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ওপর মোবাইল কোর্টের নামে জুলুম চালানো হচ্ছে। সরকার জানে, আমরা পুরোপুরি অদক্ষ মানুষ নিয়ে কাজ করি। আপনারা আগে রেস্তোরাঁকর্মীদের ট্রেনিং দেন। আমাদের শেখান, কীভাবে শতভাগ নিরাপদ খাদ্য পরিবেশন করা যায়।’
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সহসভাপতি এম রেজাউল করিম সরকার রবিন, সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন, প্রথম যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খানসহ সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিটের রেস্তোরাঁ মালিক, সমিতির নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।