জামালপুরের মেলান্দহে চিরকুট লিখে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় দোষ স্বীকার করেছেন তামিম আহম্মেদ স্বপন। তিনি মামলার একমাত্র আসামি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মাঈনুল ইসলাম নিউজবাংলার কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামিমকে মেলান্দহ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে দোষ স্বীকার করেন তিনি। এরপর তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ফারিয়া আরজুর সামনেও দোষ স্বীকার করেন তামিম। তাই রিমান্ড চাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রী আশামনির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা। তার মরদেহের পাশ থেকে দুটি চিরকুটও পাওয়া যায়।
পরদিন সকালে তামিমকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মেলান্দহ থানায় বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে আশামনির বাবা মেলান্দহ থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
শুক্রবার রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধর ইউনিয়নের চরশশা গ্রাম থেকে তামিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪।
র্যাব হেফাজতে তামিম আহম্মেদ স্বপন। ছবি: নিউজবাংলা
নিহতের পরিবারের দাবি, স্কুলে যাতায়াতের সময় আশামনিকে উত্ত্যক্তসহ বাজে মন্তব্য করতেন স্বপন। এর জেরেই আত্মহত্যা করে আশামনি।
স্থানীয় মালঞ্চ এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত সে।
নিহত স্কুলছাত্রীর বাবা আবু সাঈদ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে চলে যায় তার মেয়ে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাড়িতে এসে তার কক্ষে গিয়ে শুয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ডাকতে গিয়ে তার মা দেখতে পান, বাঁশের ধর্নার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মেয়েটি ঝুলে আছে।
তিনি আরও জানান, স্বজনদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আশামনিকে উদ্ধার করা হয়। মেলান্দহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।