বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বলেন, ‘দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে ওঠার কারণ জনগণ শেখ হাসিনার পাশে ছিল।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর দেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। দেশের কিছু বেইমান তাকে বাধা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। তার কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশকে এক উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি, তাদের জন্য জিয়াউর রহমান পুনর্বাসন করেছিলেন। বাংলাদেশ উন্নয়নে অগ্রসর হওয়ায়, সেটি পছন্দ করছে না। কারণ পরাজিত শক্তি। এই পরাজিত শক্তি চেয়েছিল বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরতে।
‘বিএনপি দুই দিন পরপর আন্দোলনের ডাক দেয়। মানুষ আন্দোলনে সাড়া দেয় না। জনগণ কেন আন্দোলনে সাড়া দেবে। বিএনপি খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। বাংলাদেশের নিম্ন আদালত খালেদা জিয়াকে এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে পাঁচ বছরের ও উচ্চ আদালত ১০ বছরের সাজা দিয়েছে। এতিমের টাকা আত্মসাতের অন্য একটি মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে আরও সাত বছর সাজা দিয়েছে। আদালত তাকে সাজা দিয়েছে, এখানে আওয়ামী লীগের কী করার আছে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশে চিঠি লিখে তাদের মুরব্বিদের বলে, এই সরকার আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করবে না। সে জন্য এই সরকারকে উৎখাত করতে হবে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসতে হবে।’
বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিয়ে আইন করার পর তারা বললেন, এই আইনে হবে না। তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাগবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইতিহাস আর বিএনপির বেআইনি কার্যক্রমের ইতিহাস এক। বিএনপি আইন মানে না, সংসদ মানে না। তারা ক্ষমতায় গেলে দেশ বিরাণভূমি হয়ে যাবে। তাদের কোনো কথায় আপনারা কান দেবেন না। বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।’
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন বাবুল, সেলিম ভূঁইয়াসহ অনেকে।