দেশে নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত আরও কমেছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার নমুনা পরীক্ষায় ১৯৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত ৮৫ দিনের মধ্যে এই হার সর্বনিম্ন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে মোট তিনজন রোগী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনজনই পুরুষ। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ২৯ হাজার ১০৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর এর চেয়ে কম হারে করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল। সেদিন ১২২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নতুন শনাক্তদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৩ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ধরা পড়ে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। আর করোনার তৃতীয় ঢেউ নিশ্চিত হয় ২০ জানুয়ারি। ৫০ দিন পর সেই ঢেউও নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে বাংলাদেশ।
২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১১ হাজার ১৮৩টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
১৫ দিনে শনাক্তের হার
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহ দৈনিক নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ছিল ৫ শতাংশে নিচে। পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর পর থেকে ১ মার্চ ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২ মার্চ ৩ দশমিক ২২ শতাংশ ও ৩ মার্চ শনাক্তের হার নেমে ২ শতাংশের ঘরে প্রবেশ করে। ৪ মার্চ আবার কিছুটা বেড়ে ৩ দশমিক ২০ শতাংশে ওঠে।
৫ মার্চ ফের শনাক্তের হার ২ শতাংশে নেমে আসে। এর পর থেকে তা আর ৩ শতাংশের ঘরে ওঠেনি। ৬ মার্চ শনাক্ত হার দাঁড়ায় ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। পরদিন এই হার ছিল ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। ৮ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ২৩ শতাংশ। ৯ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। পরদিন তা দাঁড়ায় ১ দশমিক ৯১ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হার কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে আবার নতুন ঢেউ আসে। মূলত ডেল্টা ধরনের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই ঢেউয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় জুলাইয়ে। শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
এরপর দেশে ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণ দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা দেশে করোনার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।