বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যে কিশোরের কণ্ঠে ১২০ দেশের জাতীয় সংগীত

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ১৭:৩৫

প্রিয়াংশু বলে, ‘বর্তমানে ১২০টি দেশের জাতীয় সংগীত আমি গাইতে পারি। নতুন করে আরও শিখছি। তবে পৃথিবীর সব দেশের জাতীয় সংগীত শেখার ইচ্ছা নেই আপাতত। যে কয়টা পারি শিখব।’ 

লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনার তেমন চাপ ছিল না প্রিয়াংশুর। এই সময়টায় বাড়িতে বসে সে একে একে ১২০ দেশের জাতীয় সংগীত শিখেছে।

প্রিয়াংশুর এখন লক্ষ্য, গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নিজের নাম লেখানো। তবে তা নিয়ে আছে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা। এসব নিয়ে প্রিয়াংশু রায় চৌধুরীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে নিউজবাংলা।

শুরুটা ক্রিকেট থেকে

অস্ট্রেলিয়া দলের ক্রিকেট খেলা প্রিয়াংশুর খুব পছন্দের। সাধারণত অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ কখনোই মিস দেয় না।

প্রিয়াংশু বলে, ‘এক দিন খেলা দেখতে বসে মনে হলো আমাদের জাতীয় সংগীত তো জানি। অস্ট্রেলিয়ারটাও শিখতে পারলে কেমন হয়? যেই ভাবা সেই কাজ। দিন দুয়েকের মধ্যেই শিখে নিলাম অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত।

‘তারপর মনে হলো, অস্ট্রেলিয়ার পাশের দেশ নিউজিল্যান্ডেরটাও তো শেখা যেতে পারে। শিখে নিলাম সেটাও। এভাবে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে ৮০টি দেশের জাতীয় সংগীত শিখেছি।’

গিনেজ বুকে নাম লেখানোর ভাবনা

দশম শ্রেণির ছাত্র প্রিয়াংশু বলে, ‘একসময় মনে হলো, এটা তো একটা ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও হতে পারে। গুগল করে জানলাম কানাডার কেপ্রি এভেরিটের কথা। তিনি বিশ্বের ৭৬টি দেশে গিয়ে সেসব দেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নাম লেখিয়েছেন।’

২০১৬ সালে করা কেপ্রির এই রেকর্ড ভাঙার ইচ্ছা প্রিয়াংশুর। এরই মধ্যে তিনি গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছেন।

তবে এতগুলো দেশে গিয়ে জাতীয় সংগীত গাইতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সেই অর্থের জোগান কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তিত এই স্কুলছাত্র।

গান ভালো লাগে ছোট থেকেই

প্রিয়াংশুর গানের হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছে। ছোট থেকেই গান গাইতে ভালো লাগে। সবচেয়ে প্রিয় রবীন্দ্র সংগীত।

তবলা বাজাতেও প্রিয়াংশুর দারুণ লাগে। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের জাতীয় সংগীত শেখার পাশাপাশি ইউটিউব দেখে ইউকুলেলে বাজানো শিখে নিয়েছে।

শুরুতে বকাবকি করতেন বাবা-মা

প্রিয়াংশু এখন চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা সরকারি চাকরিজীবী, মা গৃহিণী। নবম শ্রেণিতে যখন জাতীয় সংগীত শেখা শুরু করে প্রথমে তা মায়ের চোখে পড়ে।

মা সোমা দত্ত বলেন, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম পড়াশোনায় ফাঁকি দিচ্ছে। পরে দেখি এগুলো শিখছে।’

বাবা প্রথমে বকাবকি করলেও একসময় ছেলের এই প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হন। শুরু করেন অনুপ্রেরণা দেয়া।

পলাশ রায় চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুরুতে ওর বিষয়টা না বুঝে বকাবকি করেছিলাম। এর জন্য পরে নিজেকে অপরাধী মনে হয়েছিল। ও লকডাউনে গেমসে বা ভার্চুয়াল জগতে আসক্ত না হয়ে এতগুলো দেশের জাতীয় সংগীত শিখেছে। এটা একটা সৃষ্টিশীল বিষয়।

‘বাবা হিসেবে তাকে নিয়ে গর্ব করার মতো। তবে ছেলে যেন সবার আগে ভালো একজন মানুষ হতে পারে সেটাই প্রথম চাওয়া।’

১২০ পেরিয়ে কত?

প্রিয়াংশু বলে, ‘বর্তমানে ১২০টি দেশের জাতীয় সংগীত আমি গাইতে পারি। নতুন করে আরও শিখছি। তবে পৃথিবীর সব দেশের জাতীয় সংগীত শেখার ইচ্ছা নেই আপাতত। যে কয়টা পারি শিখব।’

ক্রিকেট ম্যাচে জাতীয় সংগীত গাওয়ার ইচ্ছা

বিদেশ থেকে যখন ক্রিকেটাররা খেলতে আসেন তখন ম্যাচের শুরুতে সেসব দেশের জাতীয় সংগীত গাইতে চান প্রিয়াংশু।

প্রিয়াংশু বলে, ‘আমি আমাদের জাতীয় সংগীত গাওয়ার পাশাপাশি সফরকারী দলগুলোরও জাতীয় সংগীত গাইতে চাই। এতে বিদেশিদের কাছে আমাদের দেশের প্রতি একটা ইতিবাচকতা তৈরি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এ বিভাগের আরো খবর