বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ড. কামালই গণফোরামের সভাপতি

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ১৫:৫৫

কাউন্সিলে ড. কামালকে ফোরামের নতুন সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে উপস্থিত ফোরামের সদস্যরা সে প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

ড. কামাল হোসেনকেই গণফোরামের সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে শনিবার গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এর আগে কাউন্সিলে ড. কামালকে ফোরামের নতুন সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয়। পরে উপস্থিত ফোরামের সদস্যরা সে প্রস্তাবে সমর্থন জানান।

ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিযুক্তের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদকসহ কমিটির অন্য সদস্যদের তালিকা নির্ধারণে ২০ সদস্যের একটি সাবজেক্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি আলোচনার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাছাইয়ে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।

গণফোরামের কাউন্সিলকে ঘিরে দলটির বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে।

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কামাল হোসেনের অংশ কাউন্সিলের আয়োজন করে, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন অন্য অংশ প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেয়।

সকালে ড. কামাল হোসেনের অংশের গণফোরাম কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময়ে অন্য অংশের নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের ভেতরে ঢুকে কাউন্সিলে হামলা করেন। তারা চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি কাউন্সিলে আসা নেতা-কর্মীদের মারধর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে মন্টু অংশের নেতা-কর্মীদের বের করে দেয়।

এ সময় মন্টু অংশের কর্মীরা অভিযোগ করেন, কামাল হোসেনের অংশের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খানসহ এই অংশের নেতাকর্মীরা সরকারের দালাল। তারা সরকারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে গণফোরামকে বিভক্ত করেছেন।

অন্যদিকে হামলার বিষয়ে মোকাব্বির খান জানান, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিলের আয়োজন করেছেন।

এ ঘটনার পর অনুষ্ঠিত হয় কাউন্সিল। সেখানে কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক প্রস্তাব পাঠ করেন। তিনি বলেন, ‘জনগণকে বুঝাতে হবে যে, দুর্নীতি ও দুর্বিত্তায়িত রাজনীতি চললে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর জোট গঠন করে আগের মতো রাষ্ট্র ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। কিন্তু জনগণের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

‘তাই জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে হলে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কল্যাণমুখী অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিতে হবে।’

রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকারসমূহ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘অধিকার সচেতন জনগণকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্বলিত কর্মসূচির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করে আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’

শফিক উল্লাহ আরও বলেন, ‘কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিম্নতম পর্যায় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সংগঠনকে সুশৃংখল ও শক্তিশালী করতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি ও নেতিবাচক রাজনীতির চিরবিদায় করতে হবে।

এসময় ফোরামের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আলতাফ হোসেন, এ আর জাহাঙ্গীর, নাজমুল ইসলাম সাগর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর