বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সয়াবিন, পামওয়েলের বিকল্প হতে পারে সূর্যমুখীর তেল

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ১২:১১

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোক্তাদির আলম বলেন, ‘কৃষকরাও সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বর্তমান বাজারেও তেলের চাহিদা অনেক। সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কারণ এতে উপকারী ওমেগা-৩ উপাদানটি থাকে।’

চট্টগ্রামের হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। মূলত গবেষণার উদ্দেশে ও কৃষকদের অনুপ্রাণিত করতে গত তিন বছর ধরে এখানে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কৃষিতত্ত্ব) ড. মো. মোক্তাদির আলম মনে করেন, সয়াবিন ও পামওয়েলের ভালো বিকল্প হতে পারে সূর্যমুখী ফুল থেকে সংগ্রহ করা তেল।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সূর্যমুখী একটি তেল উৎপাদক ফসল। বর্তমান বাজারেও তেলের চাহিদা অনেক। আমরা যে সয়াবিন তেল, পাম অয়েল ব্যবহার করি তা বিদেশ থেকে আমদানি করা। এ তেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে।

‘সেদিক থেকে সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কারণ এতে উপকারী ওমেগা-৩ উপাদানটি থাকে। এ ছাড়াও সূর্যমুখী ফুল থেকে ৪০ শতাংশ তেল উৎপাদন করা যায়। ৪০ শতাংশ বলতে ১০০ কেজি সূর্যমুখী ফুল থেকে ৪০ কেজি তেল পাওয়া যায়। এ বাইরেও বাসা-বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনেও সূর্যমুখী লাগানো হয়।’

হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে সূর্যমুখীর নতুন এক জাত নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে বলেও জানান মোক্তাদির আলম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে যে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে সেটি বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের। এটি অপেক্ষাকৃত খাটো জাতের। ফলে বাতাসে সহজে হেলে পড়ে না তাই ফুলও নষ্ট হয় না। চট্টগ্রাম অঞ্চলে যেহেতু ঝড়ো বাতাসের প্রবণতা বেশি তাই এই জাতটা এখানে উপযোগী।’

তিনি জানান, নতুন জাতে আশানুরূপ ফলও পেয়েছেন তারা। সূর্যমুখী ফুলের ফলন শীতকালে বেশি হয়। এসময় প্রতি হেক্টরে দুই থেকে আড়াই টন ফলন হয়। অন্য ঋতুতেও ফলন ভালো হয়।

মুক্তাদির আলম আরও বলেন, ‘প্রায় দুই একর জায়গা জুড়ে গত তিন বছর ধরে এখানে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। মূলত গবেষণা ও এ অঞ্চলে সূর্যমুখীর নতুন জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ের জন্য এ ফুলের চাষ করা হচ্ছে। কৃষকরা চাইলে বীজ সরবরাহ করা হয় যদিও বীজ সরবরাহ করা কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কাজ। আমরা শুধু বিভিন্ন জাত নিয়ে গবেষণা করে থাকি।’

সুবিধার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে তেলের চাহিদা আছে। আমরা যেকোনো ঘানিতে সূর্যমুখী তেল ভাঙাতে পারি। সরিষার ঘানিতেও সূর্যমুখী তেল ভাঙানো যায়। অনেকেই সূর্যমুখী চাষ করছেন।

‘হাটহাজারী অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়। আমাদের দেশেও এটি লাভের উদ্দেশে চাষ করা হচ্ছে। এটি দেখতে সুন্দর ও শোভাবর্ধক। সারাবছর চাষযোগ্য একটি ফসল। এটি লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন আগ্রহী হচ্ছেন। বাণিজ্যিকভাবে নারায়ণগঞ্জ রয়েল শেফ কম্পানিও সূর্যমুখী তেল উৎপাদন করে।’

সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে এখানে আসেন দর্শনার্থীরাও। তবে অনেকসময় অসাবধানতার কারণে কিছু ফুল নষ্ট করে ফেলেন তারা। এ বছর অনেক জায়গায় এ ফুলের চাষ হচ্ছে তাই দর্শনার্থী গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

এ বিভাগের আরো খবর