বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডালিম ভেবে শম্ভূর মরদেহ দাফন

  •    
  • ১২ মার্চ, ২০২২ ০০:০৩

কানাইঘাট থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, ‘গত ৪ মার্চ গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন শম্ভূ দেবনাথ। পরদিন ৫ মার্চ এ ব্যাপারে তার মামা পরিমল দেবনাথ সিলেটের শাহপরাণ (র.) থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।’

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজালার চিকনাগুন ইউনিয়নের ঘাটেরচটি থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মরদেহ ডালিম আহমদ পরিচয়ে তার পরিবার দাফন করেছিল। কিন্তু ঘটনার চারদিন পর জানা গেলে দাফন করা সেই ব্যক্তিটি আসলে ডালিম নন।

পুলিশ জানিয়েছে, ডালিম ভেবে যার মরদেহ দাফন করা হয়েছিল তিনি কানাইঘাটের শম্ভূ দেবনাথ। ডালিম ও শম্ভূ কাছাকাছি সময়েই খুন হয়েছিলেন। ডালিমের মরদেহটিও ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের ঘাঠেরচটি গ্রামে তার বাড়ি।

ডালিম পরিচয়ে কবর দেয়া শম্ভূ দেবনাথের মরদেহটি শুক্রবার উত্তোলন করা হয়। পরে ওসমানী হাসপাতাল মর্গে ডিএনএ সংগ্রহের পর পরিবারের কাছে শম্ভূর মরদেহ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

শম্ভু দেবনাথ লামা ঝিঙ্গাবাড়ির শৈলেশ চন্দ্র নাথের ছেলে। ৪ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

ডালিম সম্পর্কে জানা যায়, গত ৫ মার্চ স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে ৭ মার্চ বিকেলে ঘাঠেরচটি এলাকার একটি মৎস্য খামার থেকে মুখমণ্ডল বিকৃত করা একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গায়ের পোশাক দেখে ডালিমের পরিবার নিশ্চিত করে এটি তার মরদেহ। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার নিজ বাড়িতে এই মরদেহ দাফন করে ডালিমের পরিবার।

এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই ঘাঠেরচটি এলাকার নায়াটিলা জামে মসজিদসংলগ্ন একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে রক্ত দেখতে পায়। সেই সূত্র ধরে মসজিদসংলগ্ন কৃষিজমিতে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিকৃত এ মরদেহ শনাক্তে পরদিন নেয়া হয় আঙুলের ছাপ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দেখতে পায়, আঙুলের ছাপটি নিখোঁজ ডালিমের। তখন ডালিমের বাবা রাজমিস্ত্রি বাচ্চু মিয়াকে খবর দেয়া হয়। তিনি সন্তানের মরদেহ নিয়ে আগের কবরের পাশেই দাফন করেন।

এরপর আগে কবর দেয়া মৎস্য খামার থেকে উদ্ধার হওয়া সেই মরদেহের পরিচয় শনাক্তে নামে পুলিশ।

কানাইঘাট থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, ‘গত ৪ মার্চ গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন শম্ভূ দেবনাথ। পরদিন ৫ মার্চ এ ব্যাপারে তার মামা পরিমল দেবনাথ সিলেটের শাহপরাণ (র.) থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।’

তিনি জানান, শুক্রবার আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা যায় মৎস্য খামার থেকে পাওয়া মরদেহটি শম্ভূ দেবনাথের। শম্ভূর পরিবারও থানায় এসে পোশাক ও ছবি দেখে এটি শম্ভূর বলে নিশ্চিত করেন।

এরপর শুক্রবার দুপুর ১২টায় জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আল বশিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে ঘাটেরচটি গ্রামে কবরস্থান থেকে শম্ভূ দেবনাথের লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের পর ডিএনএ সংগ্রহ করে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

শম্ভূর ভাই কৌশিক দেবনাথ বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আমাদের ভাই নিখোঁজ ছিল। অবশেষে আজ তার মরদেহের খোঁজ পাই।’

তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৩টায় পুলিশ তাদের কাছে শম্ভূর মরদেহ হস্তান্তর করে। পরে সন্ধ্যা ৭টায় কানাইঘাট উপজেলার লামা ঝিঙ্গাবাড়ি এলাকায় মরদেহটি সৎকার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর