চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানার জহুর হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করে রেড ক্রিসেন্টে চট্টগ্রাম। এ সময় রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মী আহত হন।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাত ১১ টা ১০ মিনিটের দিকে আমাদের আগ্রাবাদ, চন্দনপুরা ও নন্দনকানন স্টেশনের ৯ টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতি বলতে বেশ কিছু দোকান পুড়ে গেছে। আর্থিক পরিমাণ তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না। শুক্রবার হওয়ায় মার্কেট বন্ধ ছিল, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। এগুলো তদন্ত করে বলতে হবে।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে যে লেইনে আগুন লাগছে সেই লেইনে ৭০০ মতো দোকান আছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তা ছাড়া আরও অনেকগুলো দোকান আগুন লাগার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
কাউন্সিলর জওহরলাল হাজারী বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুনে বেশ কিছু দোকান পুড়ে গেছে। এগুলো কাপড়ের দোকান হওয়ায় পানিতে ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু কাপড় নষ্ট হয়েছে।’
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল আমিন বলেন, ‘আমাদের মার্কেট বন্ধ ছিল। শুধু দারোয়ান ছিল তখন। সম্ভবত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে আর্থিক পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত যারা, সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করলে সেটি অবশ্যই আমরা দেব। কিন্তু এখানে কোনো ওয়াটার সোর্স নাই এবং ফায়ার সার্ভিসকে ৬ শ থেকে ৭ শ মিটার দূর থেকে পানির ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
‘আমরা ব্যবসায়ী সমিতিকে নিয়ে বসবো, যেন এখানে আন্ডার ওয়াটার রিজার্ভারসহ পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকে। কারণ এখানে ৯ শ দোকান, একবার যদি আগুন ছড়িয়ে যেত, এটা কোনোভাবেই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো না। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত চেষ্টা করেছে বলেই এটা ছড়িয়ে পড়ে নাই।’