ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ রোববার দেশে আনা হতে পারে।বর্তমানে তার মরদেহ মলদোভা হয়ে রোমানিয়ার বুখারেস্টে আনা হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে রোমানিয়ায় তার মরদেহবাহী ফ্রিজার ভ্যানটি এসে পৌঁছাতে পারে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন এনাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ মলদোভা-রোমানিয়া সীমান্তে এসে পৌঁছে। সেখানে রোমানিয়ার বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল তা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বুখারেস্টের পথে রওনা করে।
‘রাত ১২টা নাগাদ বুখারেস্টে পৌঁছানোর কথা। ইতোমধ্যে হাদিসুরের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রোমানিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস টার্কিশ এয়ারলাইনসের কার্গো বুকিং দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে রোববার রাত ৮টায় তার মরদেহ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাতে পারে।’
‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২১ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের বন্দর এরেগলি ছেড়ে যায়। সেটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বন্দর অলভিয়ায় পৌঁছে।
ইউক্রেনে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করে। রাশিয়ার সামরিক অভিযানে ইউক্রেনে পরিস্থিতির অবনতি হলে শিপিং করপোরেশনের নির্দেশে পণ্য লোড করার পরিকল্পনা বাতিল করে সেখানেই জাহাজটিকে অবস্থান করছিল।
পরে ২ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে যুদ্ধবিমান থেকে রকেট হামলায় জাহাজের ডেকে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন জাহাজের ক্রু ও নাবিকরা। ওই হামলায় নিহত হন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান।
গত ৯ মার্চ দুপুরে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে জাহাজের ২৮ নাবিক-ক্রু দেশে পৌঁছান।