জামালপুরের মেলান্দহে স্কুলছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন বাবা।
মেলান্দহ থানায় শুক্রবার দুপুরে এই মামলা করেন আবু সাঈদ।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম।
মামলায় আসামি করা হয়েছে তামিম আহম্মেদ স্বপনকে। তিনি উপজেলার সাধুপুর কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন সকালে পরিবার ও এলাকার লোকজন মানববন্ধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেলান্দহ পৌরসভার শাহজাতপুর এলাকার বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রী আশা মনির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় মালঞ্চ এম এ গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত আশা মনি।
মেয়েটির বাবা আবু সাঈদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে চলে যায় তার মেয়ে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাড়িতে এসে তার কক্ষে গিয়ে শুয়ে পড়ে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে ডাকতে গিয়ে তার মা দেখতে পান, বাঁশের ধর্নার সঙ্গে গলায় ওড়না লাগিয়ে মেয়েটি ঝুলে আছে।
‘পরে স্বজনদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে তাকে। মেলান্দহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আবু সাঈদ জানান, মৃত্যুর আগে দুটি চিরকুট লিখে গেছে আশা মনি। এই চিরকুটে মেয়েটি তার আত্মহত্যার কারণ জানিয়ে গেছে দাবি করে বাবা বলেন, ‘স্থানীয় তামিম আহম্মেদ স্বপনের উত্ত্যক্ত থেকে বাঁচতেই আত্মহনের পথ বেছে নিয়েছে আশা মনি।’
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে তামিমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। সাধুপুর কান্দাপাড়া এলাকায় তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল বসতঘর।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে মেয়েটির মরদেহ পরিবারকে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে তাদের অভিযান চলছে।’