বরিশাল নগরীর কলেজ রোড এলাকায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজরের বাড়িতে এক গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে ওই গৃহকর্মী পালিয়ে নগরীর কাশিপুর এলাকার রিকশা চালক আরিফ মোল্লার বাড়ি আশ্রয় নিলে স্থানীয়রা বিমানবন্দর থানায় খবর দেয়।
ওই গৃহকর্মীর নাম মীম। ১৫ বছরের মীম পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানার তুলশি গ্রামের মৃত অরেন এর মেয়ে।
জানা গেছে, এতিম মীমকে তার চাচা স্বপন ঢাকায় থাকতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকিমুল ইসলামের বাড়িতে কাজে দেয়। আকিমুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহী। স্ত্রী শিমু ও ২ সন্তানকে নিয়ে তিনি বরিশালে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। অবসরপ্রাপ্ত মেজর আকিমুল ইসলাম নগরীর ঔষধ কোম্পানি ক্যামিস্ট ল্যাবরেটরিজে সিইও হিসেবে চাকরি করছেন।
মীমের অভিযোগ, প্রতিদিন রুটি বানানোর কাঠের বেলন, লোহার রড ও খুনতি দিয়ে মারধর করতো গৃহকর্ত্রী শিমু। এছাড়া ঠিকমতো খেতে ও ঘুমাতেও দিত না তাকে। এর আগেও আরও একজন গৃহকর্মীকে মারধর করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয় ওই বাসার গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী।
মীম আরও অভিযোগ করেন, তাকে সারাদিন খাবার না দিয়ে কাজ করাতো।
রিকশাচালক আরিফ মোল্লা বলেন, ‘আমি মীমকে বিএম কলেজ এলাকায় দেখতে পাই। সেখান থেকে ওর কাহিনি শুনে আমার বাসায় নিয়ে আসি। গতরাত থেকে সে আমার স্ত্রীর কাছে ছিল, আজ সকালে পুলিশ তাকে নিয়ে গেছে।’
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। ঘটনাটি শুনে পুলিশকে খবর দেই। আশা করি অপরাধী শাস্তির আওতায় আসবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহকর্তা মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আকিমুল ইসলাম বলেন, ‘মীমের মানসিক সমস্যা আছে। তাই এসব কথা বলছে, এসব অভিযোগ মিথ্যা।’
এ সম্পর্কে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. শাহজালাল কবির বলেন, ‘এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ মিমকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। গৃহপরিচারিকা মিমকে থানার ভিকটিম সেন্টারে নেয়া হয়েছে। পরের আইনি ব্যবস্থা সেখান থেকেই নেয়া হবে।’